বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজার রায় ঘোষণার পর বিএনপি কর্মীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশের লাঠিচার্জে ১০/১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এদিকে, মিছিল থেকে নগর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম ও সাবেক ভিপি মাসুদ আলমকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর কেডিঘোষ রোডের বিএনপি অফিসের সামনে এসব ঘটনা ঘটে। পরে দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর নেতৃত্বে এক সমাবেশ করেন বিএনপি'র নেতাকর্মীরা।
অন্যদিকে, একই সময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা খুলনা হাদিস পার্কের দুই দিক থেকে মিছিল নিয়ে বিএনপি কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় দুই রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়। পুলিশ সোসাইটি সিনেমা হলের সামনে তাদের প্রতিহত করে। তবে গুলি ছোড়ার কথা কোন পক্ষ স্বীকার করেনি।
এর আগে দুপুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাহারুজ্জামান মোর্তুজা, সহ দফতর সম্পাদক সামছুজ্জামান চঞ্চল, জাসাসের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান দীপু ও যুবদল নেতা মো. সালাউদ্দিনকে আটক করে পুলিশ।
রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পুরো শহরজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। খুলনা থেকে দূরপাল্লার কোন বাস সকাল থেকে ছেড়ে যায়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা মহানগর ও জেলায় আটক হয়েছে ৮৫ জন।
নগরীজুড়ে বাড়ানো হয়েছে র্যাব-পুলিশের টহল। এছাড়া ৩৬টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সাদা পোশাকে বাড়ানো হয়েছে পুলিশের নজরদারি।
বিডি প্রতিদিন/০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/আরাফাত