তুচ্ছ ঘটানাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজে ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগ।
বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটার দিকে কলেজের মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে ভাঙচুর ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে তারা। এ ঘটনায় কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হয়।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের মিলানায়তনে ‘টেন মিনিট স্কুল’ এর প্রতিষ্ঠাতা আয়েমান সাদিকের মোটিভশনমূলক বক্তৃতা অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানে নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজসহ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। অনেক শিক্ষার্থীর সমাগম হওয়ায় সেখানে কলাহোল তৈরি হয়। বক্তব্য চলাকালে সে কলাহোল থামাতে বলায় ক্ষোভ দেখা দেয় ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে। এরপর বিক্ষুব্ধ হয়ে তারা মিলনায়তনে হট্টগোল সৃষ্টি করে। পরে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এসএম জার্জিস কাদির ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম বাপ্পিসহ অন্যান্যদের নিয়ে নিজ দপ্তরে আলোচনার জন্য যেতে লাগলে ভাঙচুর করতে শুরু করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। এতে করে সাধারণ শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন আহত হয়।
রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এসএম জার্জিস কাদির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠান চলাকালে অনেক ভীড় থাকায় সামান্য কলাহোলের সৃষ্টি হয়। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিতে ছাত্রলীগের সভাপতি ও অন্যান্যদের নিয়ে বেড়িয়ে যায়। আমার অফিস কক্ষে যাওয়ার পথে কিছু বুঝে উঠার আগেই ছাত্রলীগের ছেলেরা অফিসের বাইরে ভাঙচুর করতে থাকে। এসময় কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।’
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ব্যাপক উপস্থিতিতে মিলনায়তনে চেঁচামেচি শুরু হয়। এক পর্যায়ে শিক্ষক ও বক্তা আয়েমান সাদিক চেঁচামেচি থামাতে ধমক দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরে তাদের থামাতে চেষ্টা করলেও তারা ভাঙচুর করতে থাকে।
খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ‘অধ্যক্ষের উপর রাগ করে কিছু ফুলের টব আর বেঞ্চ ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরে আমরা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ ঘটনায় কেউ আহত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’
এ বিষয়ে রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাইনুল ইসলাম বাপ্পির সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তার মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। নাম পরিচয় না জানিয়ে তার এক সমর্থক ফোনটি ধরে বলেন, ‘কলেজে তেমন কিছু হয়নি। ভাই বাইরে আছেন। পরে কথা বলবেন।’ সাধারণ সম্পাদক বাইতুল হোসন তুরুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন কেটে দেন।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন