বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে শনিবারও বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সকাল ১০টার দিকে নগরীর হাতেমআলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা অবরোধ করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তারা নিরাপদ সড়ক এবং সড়কের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের কঠোর শান্তিসহ ৯ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানায়।
শিক্ষার্থী আন্দোলনের মধ্যে ঢুকে বহিরাগতরা যাতে কোনো ধরনের উস্কানি দিতে না পারে সে জন্য আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করছে পুলিশ।
এদিকে, চলমান শিক্ষার্থী আন্দোলনের কারণে ভাংচুর এবং যাত্রীদের ক্ষতির আশঙ্কায় বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকাসহ সারা দেশের দূরপাল্লার সকল রুটের বাস চলাচল শনিবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ ছিল। এতে চরম বেকায়দায় পড়েছেন দূরপাল্লা রুটের যাত্রী সাধারণ।
বরিশাল নগরীর নুথল্লাবাদ কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনাল সূত্র জানায়, গত শুক্রবার সকালে বরিশাল থেকে দূরপাল্লার একটি যাত্রীবাহী বাস ছেড়ে গেলেও মোস্তফাপুর এলাকায় বাসটি আটকে দেয় সেখানকার পরিবহন মালিক সমিতির লোকজন। এরপর থেকে কেন্দ্রিয় কমিটির নির্দেশে বরিশাল থেকে ঢাকা সহ দূরপল্লার সকল রুটের বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওইদিন দুপুর ২টার পর দুটি বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলেও পর্যাপ্ত যাত্রী না পাওয়ায় বাস দুটির ট্রিপ বাতিল করা হয়।
একইভাবে শনিবার সকাল থেকে বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনালসহ দক্ষিণাঞ্চলের কোনো জেলা-উপজেলা থেকে ঢাকাসহ সারা দেশের দূরপাল্লার কোনো রুটে ছেড়ে যায়নি কোসো যাত্রীবাহী বাস।
যাত্রী না পাওয়ার কারণে দূরপাল্লা রুটের কোনো বাস ছেড়ে যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন বরিশাল বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি আফতাব হোসেন। তবে অভ্যন্তরীন রুটের বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে, চলমান আন্দোলনের সাথে সহমর্মিতা পোষন করে তাদের শৃঙ্খলা বজায়ের জন্য কঠোর নজরদারী করছে পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম