সাভারের আশুলিয়ায় এক শিক্ষার্থীর ল্যাপটপ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে মামুন হোসেন নামের পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এ এস আই) প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
শনিবার দুপুরে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আওয়াল বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এছাড়াও এ ঘটনায় জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনষ্টিটিউটের (নিটার) পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ ও ভুক্তোভোগী শিক্ষার্থী আব্দুল আল নোমান বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় লিখিত পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শিক্ষার্থীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনষ্টিটিউটের শিক্ষার্থী নোমান কয়েক দিন আগে তার ব্যবহৃত ল্যাপটপ বিক্রির জন্য অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেয়। এরই সূত্র ধরে এএস আই মামুন তিন চারজন সোর্স নিয়ে সাদা পোষাকে একটি মাইক্রেবাসযোগে কোহিনুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে ল্যাপটপ কেনার কথা বলে ওই শিক্ষার্থীকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে আসে। এসময় পুলিশের ওই এসআই শিক্ষার্থীকে শিবির ও জঙ্গি বলে ভয় দেখিয়ে তার ল্যাপটপ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে অনান্য শিক্ষার্থীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে রাজ্জাক খান নামের এক সোর্সকে আটক করে। এসময় এএসআই মামুন অস্ত্র বের করে নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
পরে খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশের অপর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশের ওই সোর্সকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষনা ইনষ্টিটিউটের পক্ষ থেকে হাবিব উল্লাহ বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেছেন। এছাড়াও ভুক্তোভোগী শিক্ষার্থী বাদী হয়ে পৃথক আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আওয়াল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ল্যাপটপ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে আশুলিয়া থানায়। এছাড়াও এএসআইকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
বিডি-প্রতিদিন/ই-জাহান