সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার এবং ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক এ এইচ এম মোয়াজ্জেম হোসেন নিজেদের রাজনৈতিক বিশ্বাসকে পত্রিকায় স্থান দেননি। রাজনীতির জায়গায় রাজনীতিকে রেখেছেন, সাংবাদিকতাকে দেখেছেন পেশাদারিত্বের জায়গা থেকে। রাজনীতির জন্য সাংবাদিকতার নীতি বিসর্জন দেননি তারা। এজন্যই তারা প্রাত:স্মরণীয় হয়ে ওঠেছেন। নিজেদেরকে গড়ে তুলতে পেরেছেন প্রতিষ্ঠান হিসেবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত সমকাল সম্পাদক গোলাম সারোয়ার এবং ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক এ এইচ এম মোয়াজ্জেম হোসেনের শোক সভায় বক্তরা এসব কথা বলেন। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন।
আলোচনায় অংশ নেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ও অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী, নিউজ টুডে সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন আহমদ, আবেদ খান, সমকালের প্রকাশক এ কে আজাদ, দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ সভাপতি সাইফুল আলম, দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুনীরুজ্জামান, একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তাফিজ শফি। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান। সঞ্চালনা করেন ভোরের কাগজ সম্পাদক ও প্রেসক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য শ্যামল দত্ত।
ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, গোলাম সারওয়ার ছিলেন আমাদের অভিভাবক। কিন্তু আমরা সারওয়ার ভাইয়ের প্রতি জীবিত অবস্থায় যথাযথ সম্মান দেখাতে পারিনি।
রিয়াজ উদ্দিন আহমদ বলেন, সারওয়ার ভাই প্রমাণ করেছেন বার্তা কক্ষই সংবাদপত্রের প্রাণ। মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশে ইংরেজী ভাষায় অর্থনৈতিক পত্রিকার সফলতা সম্ভব।
আবেদ খান বলেন, সংবাদ, ইত্তেফাকে বার্তা সম্পাদক হিসেবে তিনি যেমন সফলতা দেখিয়েছেন একইভাবে সম্পাদক হিসেবে যুগান্তর ও সমকালকে সংবাদপত্র জগতে প্রতিষ্ঠিত করে নিজেকে সফলতার শীর্ষে নিয়ে গেছেন।
এ কে আজাদ বলেন, সকালের সম্পাদকীয় বৈঠকে তিনি থাকতেন সম্পাদক কিন্তু সন্ধ্যায় বার্তা কক্ষে নিজে তত্বাবধান করতেন সবকিছু। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগের দিন পর্যন্ত অনুরোধ করে এই কাজ থেকে তাকে বিরত রাখা যায়নি।
ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, সারওয়ার ভাই ছিলেন বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় 'সুবর্ণরেখায় বাতিঘর'। মোয়াজ্জেম ভাই ছিলেন উন্নয়ন সাংবাদিকতার আলোকবর্তিকা।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন