ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, রাজধানীতে চিকুনগুনিয়ার প্রভাব নেই। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব রয়েছে। তবে সেটা নিয়ে নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার লার্ভা/প্রজননস্থল শনাক্তকরণ ও ধ্বংসকরণে বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রামের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, গত দুই-তিন বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়। এমনকি আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতও নয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রথম পর্যায়ে প্রায় ১৫ হাজার বাসা বাড়িতে ডেঙ্গু মশার লার্ভা ধ্বংস করেছি। দ্বিতীয় পর্যায়ে ধানমন্ডি ও কলাবাগান এলাকায় ১৭ হাজার বাসাবাড়িতে লার্ভা ধ্বংস করেছি। এই এলাকার প্রায় ৩৭ শতাংশ বাড়িতে ডেঙ্গু মশার লার্ভা পাওয়া গেছে।
সাঈদ খোকন বলেন, সবার সন্মিলিত প্রচেষ্টায় দ্রুতই একটি ডেঙ্গুমুক্ত শহর উপহার দেবো। এজন্য নগরবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন। আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
বাসা-বাড়ির পরিত্যক্ত টায়ার, ফুলের টব, এসির আউটারে জমে থাকা পানি পরিষ্কার রাখার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, কোনো জায়গায় পাঁচদিনের বেশি পানি জমতে দেবেন না। কেননা পাঁচদিনের বেশি পানি জমে থাকলে এডিস মশার বংশ বিস্তারের সম্ভাবনা থাকে। তাই আপনার একটু সচেতনতা প্রিয়জনের জীবনকে রক্ষা করতে পারবে।
মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, আজ থেকে আমাদের ৫৭টি ওয়ার্ডে একযোগে বিশেষ ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু হবে। আমাদের প্রতিনিধিরা প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে কোথাও এডিস মশার লার্ভা পেলে তা ধ্বংস করে দিয়ে আসবে। পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতন করবে। আমাদের সঙ্গে পাশের সিটি কর্পোরেশন কেও ডেঙ্গুবিরোধী অভিযান চালানোর আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ মশার কোনো স্থান নেই। এক জায়গার মশা আরেক জায়গায় চলে যায়।
বক্তব্য শেষে মেয়র নির্মাণাধীন নৌ বাহিনীর তথ্যকেন্দ্র ভবনে ফগার মেশিন দিয়ে স্প্রে করে বিশেষ এ প্রোগ্রামের উদ্বোধন করেন।
তিনি শিক্ষার্থী ও দোকানীদের হাতে লিফলেট বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রতিনিধিগন অংশগ্রহণ করে। এ সময় প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শেখ সালাহউদ্দীন, কাউন্সিলর কামরুজ্জামান কাজল, হাসিবুর রহমান মানিকসহ অন্যান্য উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান