শাহরিয়ার শহীদ বাসসের নিউজের স্টাইলে নতুন ধারা প্রবর্তন করেছিলেন। সংবাদ রচনা ও সম্পাদনায় ছিলেন দক্ষ। সব সময় চেষ্টা করেছেন সাংবাদিকতার পেশাগত মান সমুন্নত রাখার। জীবনে চলার পথে জাত-ধর্ম সম্প্রদায় নির্বিশেষে তিনি মানুষ হিসেবে সবাইকে ভালোবাসতেন। রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আজ বিকালে শাহরিয়ার শহীদ স্মরণে আয়োজিত শোকসভায় বক্তারা এভাবেই মূল্যায়ন করলেন প্রিয় সহকর্মীকে।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে গত ১৭ নভেম্বর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাত্র ৫৬ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শাহরিয়ার শহীদের সহপাঠী ও স্বজনরা এ শোক সভার আয়োজন করে। সহপাঠীর এ শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় প্রেস কাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন।
বক্তব্য রাখেন শাহরিয়ার শহীদের শিক্ষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, প্রবীণ সাংবাদিক মুফাখ্খারুল আনাম, বাংলাদেশ খবরের সম্পাদক আজিজুল ইসলাম ভুইয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন সাহা, সাংবাদিক নেতা জাকারিয়া কাজল, ইউএনবির সম্পাদক ও সহপাঠী মাহফুজুর রহমান, বাসসের সহকর্মী ও সহপাঠী অজিত কুমার সরকার, আনিসুর রহমান, অনুপ কুমার দস্তগীর, মরহুমের অনুজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রুবায়াৎ ফেরদাউস, অধ্যাপক মফিজুর রহমান, অধ্যাপক শায়ন্তি রহমান প্রমুখ। পরে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও জান্নাত প্রার্থণা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরআগে শোক সভাস্থলে রাখা শোক বই ভরে উঠে রোদনভরা স্মৃতি ও শোকগাঁথায়।
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ছাত্র হিসেবে শাহরিয়ার যেমন মেধাবী ছিল, কর্ম জীবনে সেই মেধার স্বাক্ষর সে রেখে গেছে। সুন্দর লিখত সে। সম্পাদনার দক্ষতা ছিল চমৎকার। তার অকাল মৃত্যুতে আমরা একজন মেধাবী সাংবাদিক ও ভালো মানুষকে হারালাম।
ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, শাহরিয়ার ছিল একজন নিপাট ভালো মানুষ, মানবতাবাদী মানুষ। জীবনে চলার পথ হিসেবে সে সূফীজমকে বেছে নিয়েছিল। দলবাজি, গোষ্ঠীপ্রীতি ও সাম্প্রদায়িকতা থেকে নিজেকে সযত্নে দূরে রাখতো নিজেকে। ভালো কাজে সবাইকে উৎসাহ দিতো।
বাসসের সহকর্মী ও সহপাঠী অজিত কুমার সরকার বলেন, বার্তা সম্পাদক হিসেবে সে বাসসের নিউজের স্টাইলে নতুন ধারা প্রবর্তন করেছিল। পেশার বাইরেও সাংবাদিকদের কল্যাণে সে ছিল নিবেদিত।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার