চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে সেকায়েপ প্রজেক্টের অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকদের (এসিটি) অবস্থান কর্মসূচি চলছেই। দাবি আদায়ে রবিবার থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষকরা। এদিকে মঙ্গলবার থেকে প্রতীকি অনশন পালন করবেন বলে জানান ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।
আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষকরা জানান, দারিদ্র্য পীড়িত ও দুর্গম এলাকায় মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন, শিক্ষার্থী ঝরে পড়া কমাতে ২০১৫ সালে ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে নিয়োগ দেওয়া হয় ৫ হাজার ২শত শিক্ষক।
চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে মডেল শিক্ষক হিসেবেই আখ্যা দেওয়া হয়েছিল এই শিক্ষকদের (এসিটি)। প্রকল্প শেষে এসিটিদের এমপিও সিস্টেমে অন্তর্ভুক্তিসহ যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পটি শেষ হওয়ার পর তাদের স্থায়ীকরণের আর কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া নীলফামারীর জলঢাকায় পাঠানপাড়া এমইউ আলিম মাদ্রাসার এসিটি শিক্ষক সুলতানুল মোসলেমিন অনিক বলেন, ১৪ মাস ধরে বিনা বেতনে পাঠ দান করে আমরা ক্লান্ত। বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। অবশেষে ৪র্থ বারের মত রাস্তায় অবস্থান কর্মসূচি পালনে বাধ্য হয়েছি। চাকরি স্থায়ীকরণে দ্রুত উদ্যোগ না নিলে তারা লাগাতার কর্মসূচি পালন করবেন বলেও জানান।
এসিটি শিক্ষকরা জানান- সেকায়েপ প্রজেক্টের এসব অতিরিক্ত শিক্ষককে পরবর্তী সমন্বিত প্রকল্পে রাখার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছিল। তাই এসব এসিটি শিক্ষকদের স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রকল্প পরিচালক। কিন্তু মাসের পর মাস বিনা বেতনে পাঠদানের পর অতিরিক্ত শ্রেণি শিক্ষকরা আজ ক্লান্ত। এখন তারা ক্লাস ছেড়ে রাজপথের আন্দোলনে নেমেছেন। প্রকল্প শেষ হওয়ার পর চাকরি স্থায়ী না হওয়ায় এই পাঁচ হাজারের বেশি মডেল শিক্ষক এখন ঝরে যাওয়ার শঙ্কায়।
বাংলাদেশ এসিটি এসোসিয়েশন এর সভাপতি কৌশিক চন্দ্র বর্মন জানান, মেধাবী এসিটি শিক্ষকদের চাকরি স্থায়ীকরণ করে দ্রুত আমাদের স্ব-স্ব স্কুলে পাঠিয়ে দিন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন