মিস ইউনিভার্স আমেরিকাস তাতিয়ানা কালমেল বলেছেন, প্রথম কোনো মিস ইউনিভার্স পেজেন্ট জয়ী হিসেবে বাংলাদেশে আসতে পেরে আমি দারুণ আনন্দিত। আপনাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য যতই জানছি ততই মুগ্ধ হচ্ছি। আমার এ সফর সবাইকে উৎসাহ দেবে বলে আশা করছি। এ দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও পর্যটনকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরব এবং আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় করার ক্ষেত্রে কাজ করে যাব। গতকাল রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন। তাতিয়ানা কালমেল ২০২৪ সালে একই সঙ্গে মিস ইউনিভার্স আমেরিকাস ও মিস পেরুর মুকুট জয়ী। তাতিয়ানা কালমেল আগামী ১০ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন। এ সফর আয়োজন করেছেন ফ্লোরা টেলিকম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের জাতীয় পরিচালক মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম ডিউক। তাতিয়ানা কালমেল এ সফরের অংশ হিসেবে নানা কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। তিনি আগামী জুলাই মাসে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন এবং নতুন মিস ইউনিভার্স স্কিনকেয়ার প্রোডাক্টসের উদ্বোধন করেন। এ সময় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে গোটাবিশ্বে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন মিস ইউনিভার্স আমেরিকাস তাতিয়ানা কালমেল। তিনি বলেন, ‘আমার মাতৃভূমি পেরু। তার পর নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে মেস্কিকো যাওয়া। তার পর মিস ইউনিভার্স মুকুট জয়। মানুষ চাইলেই সব সম্ভব, তার উদাহরণ আমি নিজেই। বিশ্বায়নের যুগে আমার কাছে বিশ্ব মানে এক বিশ্ব। সব অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া নারীদের উন্নয়নে তাদের পাশে থেকে কাজ করে যেতে চাই।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ পেয়ে এবং এখানে এসে আমি সত্যিই আনন্দিত। এ এক অপার সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও আন্তরিক মানুষের দেশ। আমি সবার সঙ্গে দেখা করার, নিজের গল্প শেয়ার করুন এবং এই অসাধারণ দেশ সম্পর্কে আরও জানার অপেক্ষায় আছি।
এ অনুষ্ঠানে তাতিয়ানা কালমেল সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন, নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন এবং মিস ইউনিভার্স প্লাটফর্মের আন্তর্জাতিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব তুলে ধরেন। সফরকালে তিনি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখবেন। আয়োজকরা বলেন, তাতিয়ানা কালমেলের সফর বাংলাদেশের সৌন্দর্য, সংস্কৃতি এবং নারীর ক্ষমতায়নের এক বিশেষ মুহূর্ত। তার এ সফর দেশের জন্য অনুপ্রেরণা এবং শক্তিশালী বৈশ্বিক সম্পর্ক তৈরি করবে।