স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনাকে ফেরাতে প্রয়োজন হলে আবারও চিঠি দেওয়া হবে। তার প্রত্যাবর্তনের জন্য ইতোমধ্যে বলা হয়েছে। আমরা ডেফিনেটলি তার প্রত্যাবর্তন চাই।
গতকাল সচিবালয়ে কোর কমিটির বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, দেশের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করতে প্রতিবেশী দেশ থেকে উসকানি দেওয়া হচ্ছে। এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। সড়কে আতঙ্কের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি নিজে সড়ক দিয়ে এসেছি। সেখানেও কোনো আতঙ্ক লক্ষ্য করিনি। কিছু ছোটখাটো ঘটনা হয়েছে, তবে বড় ধরনের সমস্যা দেখা দেয়নি। মাদারীপুর, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ একটু... তবে বড় ধরনের কোনো সমস্যা নেই। কয়েক জায়গায় হাতবোমা বিস্ফোরণ হচ্ছে এবং হামলাকারীরা ধরা পড়ছে। এ সময় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বিক্ষোভকারীদের বাসায় ফিরে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। মব সৃষ্টিকারীদের ব্যাপারে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কীভাবে আহত হয়। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতাকে ‘আমাদের ছেলে-মেয়ে’ উল্লেখ করেন। বলেন, তাদের বলা দরকার ভাই-বাবা তোমরা এগুলো করো না। এগুলো করার দরকার নেই। তোমরা স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করো, এটা দেখার জন্য আমরা আছি, আমরা দেখব। তবে কিছু কিছু লোক এগুলোর উসকানি দেয়। অনেকের অনেক ধরনের স্বার্থ আছে। এগুলোর ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির কিছু দেখছি না। এখনো কোনো বড় ধরনের ঘটনা ঘটেনি, বিক্ষিপ্ত ছোটখাটো কিছু ঘটনা ঘটেছে। তবে আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলি করার বিধান আছে বলে দুর্বৃত্তদের হুঁশিয়ার করেন তিনি। দেখামাত্র গুলি ব্যবহারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা জানান, এটি কোনো খেলার শিকার নয়, বরং সেলফ ডিফেন্স বা আত্মরক্ষার জন্য ব্যবহৃত হয়।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী বলেন, এই অধিকারটা (নিরাপত্তা) প্রত্যেক নাগরিকের। আপনাকে কেউ মারতে এলে কেউ হত্যা করতে এলে আপনি আক্রমণকারীদের নিহত করার অধিকার আছে। এটা সব দেশে, সর্বত্র, সর্বকালের। এটা আমাদের দেশে তাৎক্ষণিকভাবে হয়নি।