শব্দদূষণ প্রতিরোধে জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। তিনি বলেন, নগরবাসীর সচেতন অংশগ্রহণই পারে শহরকে শব্দদূষণের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করতে।
আজ বুধবার রাজধানীর গুলশান-২ নম্বর সিগন্যাল এলাকায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ঘোষিত নীরব এলাকাতে হর্ন বাজানো নিরুৎসাহিতকরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, 'শুধু জনসচেতনতাই নয়, শব্দদূষণ রোধে আইনশৃঙ্খলার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে, তবেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।'
তিনি জানান, ঢাকা উত্তরের গুরুত্বপূর্ণ সিগন্যাল এলাকায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপ্রয়োজনে হর্ন বাজানো চালকদের শনাক্ত করা হবে এবং প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মাইক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সময়সীমা ও শব্দমাত্রা নির্ধারণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, 'বৃদ্ধ, শিশু, অসুস্থসহ সাধারণ মানুষের জন্য শব্দদূষণ অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই যত্রতত্র মাইক ব্যবহারে কঠোরতা আনা হবে।' এজন্য ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কর্মসূচির উদ্বোধনের পর একটি সচেতনতামূলক র্যালিও অনুষ্ঠিত হয়, যাতে অংশ নেন প্রশাসক নিজেও।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ফেরিক পলিউশন স্টাডিজের চেয়ারম্যান ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার এবং পরিবেশবিষয়ক সংগঠন ‘গ্রীন ভয়েস’-এর শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক।
বিডি প্রতিদিন/মুসা