খুলনায় ময়ূর নদী ও সংযুক্ত ২২টি খালের প্রায় ১৪ হাজার বর্গমিটার জায়গা বেদখল হয়ে গেছে। এর মধ্যে ময়ূর নদীর বেদখল হওয়া জমির পরিমাপ ১০৭৫ বর্গমিটার। নদীর আয়তন কমেছে চার দশমিক ১৭ শতাংশ। অবৈধ দখলের কারণে খালগুলো সংকীর্ণ হওয়ায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ব্যাহত হয়। ফলে প্রতি বর্ষা মৌসুমে শহরের বড় অংশ জুড়ে সৃষ্টি হচ্ছে স্থায়ী জলাবদ্ধতা।
এদিকে মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় আট বছর পর জরিপকাজে মাঠে নেমেছে প্রশাসন। সোমবার সকালে খুলনা সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস, পুলিশ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা সরেজমিনে খালগুলো পরিদর্শন করেন।
সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, ২০১০ সালে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগরীর ২২টি খালের অবৈধ দখলদার চিহ্নিত করে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। এর আগে ২০০৯ সাল থেকে ময়ূর নদী ও সংযুক্ত খালগুলো দখলমুক্ত করার জন্য জরিপ, অনুসন্ধান ও সুপারিশ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়নি। তবে এবার পানি নিষ্কাশন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে আটশ’ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। পর্যায়ক্রমে খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে।
জানা যায়, খুলনার খালগুলো অবৈধ দখলের সাথে স্থানীয় একাধিক রাজনৈতিক নেতার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগসূত্র রয়েছে। এ কারণে দখলদার উচ্ছেদে একাধিকবার উদ্যোগ নেয়া হলেও এর সুফল মেলেনি।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, খালের অবৈধ দখল উচ্ছেদে এবার সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে আমরা খুলনার ২২টি খাল পরিদর্শন করেছি। এরই মধ্যে কিছু কিছু জায়গায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। তবে অনেকেই খালের জমিকে তাদের ব্যক্তিগত বলে দাবি করছে। সিএস এসএ আরএস ম্যাপ থেকে তাদের উচ্ছেদ নোটিশ দেয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার