নারায়ণগঞ্জ শহরের টানবাজার সাহাপাড়া এলাকায় বৃষ্টি চৌধুরী (২১) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। মৃতের পরিবারের দাবি, যৌতুক না দেওয়ায় শ্বশুর বাড়ির লোকজন বৃষ্টিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। অভিযুক্তদের দাবি, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে বৃষ্টি আত্মহত্যা করেছে। রাতেই পুলিশ বৃষ্টির স্বামী ও শ্বশুরকে আটক করেছে।
বৃষ্টি চৌধুরীর ভাই মিঠুন চৌধুরী জানান, দুই বছর আগে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর এলাকার শ্যামল চৌধুরীর মেয়ে বৃষ্টির সঙ্গে শহরের টানবাজার সাহাপাড়া এলাকার সুভাষ চন্দ্র রায়ের ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা সুদীপ রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের সময়েই ১৫ লাখ টাকা ও ২০ ভরি স্বর্ণালংকার দেয় বৃষ্টির পরিবার। কিন্তু বিয়ের পরে আরো যৌতুকের জন্য বৃষ্টিকে মারধর করতো শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এসব নিয়ে আগেও কয়েকবার বিচার সালিশও হয়েছিল। শুক্রবার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদ মিলে নির্যাতন করে বৃষ্টিকে হত্যা করে।
তবে বৃষ্টির স্বামী সুদীপ রায় জানান, পারিবারিক ঝগড়ার জের ধরে শুক্রবার দুপুরে ঘরের দরজা বন্ধ করে রাখে বৃষ্টি। বিকেলে ডাকাডাকির পরেও দরজা না খোলায় তালা ভেঙ্গে ভেতরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় বৃষ্টিকে পাওয়া যায়। পরে তকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার নুরুজ্জামান জানান, শরীরে আঘাতের চিহ্নসহ গলায় দাগ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ বিস্তারিত বলা যাবে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, বৃষ্টির পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাবা ও ছেলেকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের আগে মৃত্যুর কারণ বলা যাচ্ছে না।
বিডি-প্রতিদিন/১৩ এপ্রিল, ২০১৯/মাহবুব