শিশুদের জন্য ৪টি ওষুধের ব্যবহার স্থগিত করেছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শনিবার রাতে ১৪ শিশু রোগীর চরম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় রবিবার এই ওষুধগুলোর ব্যবহার স্থগিত করা হয়।
এগুলো রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এ্যাসেনসিয়াল ওষুধ কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) এর সরবরাকৃত ওষুধ। এগুলো পরীক্ষা করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে রামেক কর্তৃপক্ষ। ওষুধগুলোর মধ্যে দুটি অ্যান্টিবায়োটিক, একটি অ্যান্ট্যাসিড এবং একটি অ্যান্টিস্পাসডোমিক (সিফ্রাইটিসোন, ফ্লুক্লক্সাকিলিন, র্যানিসন এবং বুটপেন)।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান বলেন, ‘কী ভুল হয়েছে তা তদন্তের জন্য মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক মো. হাসান তারিককে দিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।’
প্রফেসর তারিক বলেন, ইডিসিএল এবং বিএসটিআই ল্যাবগুলোতে ‘যথাযথ পরীক্ষা’ করার জন্য ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সিরিঞ্জ, লবণাক্ততা, এবং ইনফিউশন সরঞ্জাম পরীক্ষা করা হবে।
এর আগে গত শনিবার রাত ৯টার দিকে রামেক হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে একসঙ্গে ১৪ শিশু ওষুধের পার্শপ্রতিক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এসময় চরম আতঙ্কগ্রস্তত হয়ে পড়ে শিশুদের স্বজনরা। অনেকেই কান্নাকাটি শুরু করেন। পরে ঘণ্টাখানেক চেষ্টা করে চিকিৎসকরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের মো. বাদিউজ্জামান তার চার বছর বয়সী ছেলেকে ভর্তি করেছিলেন শিশু ওয়ার্ডে। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলেকে জ্বরের সঙ্গে কাঁপতে দেখেছি এবং তার মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।’
বদিউজ্জামান বলেন, ‘আমি একজন ডাক্তারের খোঁজ করছিলাম, কিন্তু কেউ ছিল না। প্রায় এক ঘণ্টা পর একজন ডাক্তার আসেন। পরে অনেকেই তাড়াতাড়ি আসেন। তারা শিশুদের মাথার উপর পানি ঢেলে দেওয়ার এবং তাদের শরীরকে স্পঞ্জ করার পরামর্শ দিয়ে আরও কিছু ওষুধ দেয়।
রাজশাহী শহরের বিনোদপুরের অনিকা ঠাকুর জানান, অনেক শিশুর একই ধরনের ঘটনার পর তাদের বাবা মা কাঁদতে থাকেন।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান জানান, চিকিৎসকরা দ্রুত বিষয়টি সামলে নিয়েছেন। এখন শিশুরা ভালো আছে। তবে ওই ৪টি ওষুধের ব্যবহার স্থগিত করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম