১৭ জুলাই, ২০১৯ ১৬:১১

কলেজ জুড়ে একজনই পরীক্ষার্থী, সেও ফেল

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

কলেজ জুড়ে একজনই পরীক্ষার্থী, সেও ফেল
জয়পুরহাট সদর উপজেলার হিছামতি আদর্শ কলেজ থেকে এ বছর উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন মাত্র একজন শিক্ষার্থী। সেই শিক্ষার্থীও ফেল করেছে। এমন একজনই পরীক্ষার্থী ছিল সিরাজগঞ্জ সদরের চৌগাছা মহিলা কলেজেরও। তারও দশা একই। গত বছর মাত্র একজন পরীক্ষার্থী ছিল এই কলেজের। সেবারও ওই পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হন।
 
এবার বোর্ডের কেউ পাস করেননি এমন কলেজ দাঁড়িয়েছে সাতে। এই তালিকায় সবার উপরে আছে নওগাঁর মান্দা উপজেলার চকওলি বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১৪ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই ফেল করেছেন। চককামদেব আদর্শ কলেজ থেকে ৯ জন শিক্ষার্থী এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। তারা সবাই যোগ হয়েছেন ফেলের তালিকায়।
 
এছাড়া জয়পুরহাট সদরের জয়পুরহাট নৈশ কলেজের তিনজন পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল করেছেন। গত বছর এই কলেজ থেকে অংশ নেওয়া সাত পরীক্ষার্থীর সবাই ছিলেন ফেলের তালিকায়। এবার রাজশাহীর দুর্গাপুরের দাবিপুর কলেজ ও বগুড়ার সারিয়াকান্দি গণকপাড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুজন করে পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও ফেল করেছেন প্রত্যেকেই। 
 
আজ বুধবার বেলা ১টার দিকে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আনারুল হক প্রমাণিক। তিনি বলেন, শূন্য পাশের এমন কলেজগুলো সবেমাত্র পাঠদানে অনুমতি পেয়েছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যাও একেবারেই কম। তবে এদের পাশ করা উচিত ছিল। কেউ পাশ না করার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে শিক্ষাবোর্ড।
 
এর আগে, ২০১৮ সালে রাজশাহী বোর্ডে শূন্যপাশ কলেজ ছিল ৬টি। এছাড়া ২০১৭ সালে ১১টি, ২০১৬ সালে ৮টি, ২০১৫ সালে ৫টি, ২০১৪ সালে ২টি এবং ২০১৩ ও ২০১২ সালে ৪টি করে কলেজ ছিল এই তালিকায়। 
 
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বোর্ডে এবার পাশের হার ৭৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। গত বছর এই হার ছিল ৬৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। এবার বোর্ডে মোট পরীক্ষার্থী ছিল এক লাখ ৫১ হাজার ১৩৪ জন। এর মধ্যে পাস করেছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৫০ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৭২৯ জন। এ বছর ৮১ দশমিক ২১ শতাংশ মেয়ে এবং ৭২ দশমিক ৩২ শতাংশ ছেলে পাস করেছে। ফলাফল সন্তোষজনক বলে জানিয়েছে শিক্ষাবোর্ড।
 
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর