জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তা ক্রেতা সেজে মানবদেহে মশক প্রতিরোধী মলম ওডোমস কিনেছেন। আর হাতে-নাতে পেয়েছেন বেশি দামে বিক্রির প্রমাণ। এই অপরাধে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে রাজধানীর তিনটি ফার্মেসি।
রাজধানীর কলাবাগানের রবিবার বিভিন্ন ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যলয়ের বাজার তদারকি দল। অভিযানে নেতৃত্বে দেন অধিদফতরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। আরও অংশ নেন সহকারী পরিচালক আফরোজা রহমান, আব্দুল জব্বার মন্ডল প্রমুখ।
এ বিষয়ে অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, কলাবাগানের বেশ কয়েকটি ফার্মেসি বেশি দামে ওডোমস বিক্রি করছে, এমন অভিযোগে ক্রেতা সেজে ছদ্মবেশে কলাবাগের বেশ কয়েকটি ফার্মেসি থেকে পণ্যটি কেনেন অধিদফতরের কর্মকর্তারা। এসময় বেশকিছু ফার্মেসি ঠিক দামে ওডোমস বিক্রি করলেও অন্তত তিনটি ফার্মেসিতে বেশি দামে বিক্রির প্রমাণ পাওয়া যায়।
অভিযান সম্পর্কে মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা যখন ক্রেতা সেজে ওষুধ কিনেছি তখন ফার্মেসিগুলো আমাদের কোনো রসিদ দেয়নি। এটাও একটি অপরাধ। এরপর তিনটি ফার্মেসিতে বেশি দামে ওডোমস বিক্রি হতে দেখেছি আমরা। ১২৫ টাকায় কেনা অডোমস ৩০০ টাকা, ৩৫০ টাকা এমনকী ৫০০ টাকায়ও বিক্রি করছেন কেউ কেউ। এটা তো হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, দেশে একটি সমস্যা তৈরি হলে কিছু ব্যবসায়ী এভাবে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন, পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন- এগুলো তো মানা যায় না। তাই আমরা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করছি। এখানে দেশ ফার্মেসি, সুইস ফার্মেসি ও মাই ফার্মেসিতে আমরা বেশি দামে ওডোমস বিক্রি হতে দেখেছি। ফার্মেসিগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছি। সোমবার মালিকদের আমাদের অফিসে ডেকেছি। জরিমানা তো হবেই, সঙ্গে এদের বিরুদ্ধে আর কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা সিদ্ধান্ত হবে।
একই সঙ্গে বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে নির্দিষ্ট ও সহনীয় দামে মশক সম্পর্কিত ওষুধ বিক্রি করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান এই কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/০৪ আগস্ট, ২০১৯/আরাফাত