খুলনায় রেলওয়ে স্টেশনে ঈদের তৃতীয় দিনের ২৪২টি ঢাকায় ফিরতি টিকিট ভিআইপি’দের নামে অনলাইনে ব্লক করে রাখার প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ রয়েছে, এসব টিকিট পরে গোপনে বাইরে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করা হয়।
বুধবার দুপুরে রেল স্টেশনের টিকিট কাউন্টার ও সার্ভার কক্ষে অভিযান চালিয়ে এসব ব্লক টিকিট বিক্রির জন্য উম্মুক্ত করা হয়। একই সাথে টিকিট কালোবাজারির সাথে জড়িত প্রধান বুকিং সহকারী ইয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনার উপ-পরিচালক নাজমুল আহসান বলেন, রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রী হয়রানী ও টিকিট কালোবাজারির ঘটনায় এই অভিযান চালানো হয়। এসময় স্টেশনের সার্ভার রুমে ১৪ আগস্টের ২৪২টি টিকিট ভিআইপি’দের নামে ব্লক করে রাখার প্রমাণ পাওয়া যায়।
এদিকে, দুদকের অভিযানের খবর পেয়ে টিকিট সিন্ডিকেটে জড়িত প্রধান বুকিং সহকারী মেহেদী হাসান গা ঢাকা দিয়েছেন।
অপরদিকে, স্টেশন মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকারের টেবিলের ড্রয়ারে ২২ হাজার ৯১২ টাকা পাওয়া যায়। অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের পেনশন প্রদানের নামে প্রতিজনের কাছ থেকে এখানে ১০০ টাকা হারে উৎকোচ আদায় করা হয় বলে জানা গেছে। ওই টাকা না দিলে পেনশনের টাকা আটকে রাখা হতো। দুদকের উপস্থিতিতে অবসরপ্রাপ্ত দুই কর্মচারী ইয়াকুব আলী ও শান্তি মন্ডলকে পেনশনের টাকা প্রদান করা হয়। আর ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড করবে না স্টেশন মাস্টার মুচলেকা দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম