ভোট চুরিসহ নানা অপকর্ম করে ক্ষমতা দখলকারী জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে -এমন প্রশ্ন করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের ফুটপাতে কারাবন্দি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তাঁতী দলের মানববন্ধনে তিনি এ প্রশ্ন করেন।
আমির খসরু বলেন, অনেকেই প্রশ্ন করেন এত নির্যাতনের পর বিএনপি কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে। তবে আমার প্রশ্ন যারা রাতের আঁধারে মানুষের ভোট চুরির মাধ্যমে জোর করে দক্ষতা দখল করে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সরকারে আছে, সেই আওয়ামী লীগ কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে। এই দলটির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কি? তারা তো জনগণের মুখোমুখি হতে পারছে না।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা, অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, আবদুস সালাম আজাদ, তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ বাহাউদ্দিন বাহার প্রমুখ।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আমির খসরু বলেন, সুশৃঙ্খলভাবে ঐক্যবদ্ধ থেকেই প্রতিপক্ষকে পরাজিত করা সহজ। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। বিগত দিনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। আবারও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার তাকে কারাগারে আটকে রেখেছে।
তিনি বলেন, আমাদের চলার পথ গণতন্ত্র। নির্ভরশীলতা হচ্ছে দেশের জনগণ। নানা নির্যাতন অত্যাচারের কারণে বিএনপি আজ খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছে। এই দলের নেতা খালেদা জিয়া হচ্ছেন গণতন্ত্রের মা। তাকে আজ কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। কারণ, তিনি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা, তিনি বাইরে থাকলে আওয়ামী লীগ ভোট চুরি করে জোর করে ক্ষমতায় যেতে পারতো না।
দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসন ম্যান্ডেলার উদাহরণ টেনে খসরু বলেন, তাকে যেমন আটকে রাখা সম্ভব হয়নি, খালেদা জিয়াকেও আটকে রাখতে পারবে না এই আওয়ামী সরকার। দেশের মানুষের মধ্যে আগুন জ্বলছে। তারা তাদের বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার ফিরে পেতে রাজপথে নামবে।
আমির খসরু বলেন, দেশে যে পরিবেশ এই আওয়ামী লীগ সরকার তৈরি করেছে, তার জন্য জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে। তাদের নানা অপকর্মের কারণে আইনের মুখোমুখি হতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম