ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ময়নুল হক মঞ্জুকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর টিকাটুলিতে মঞ্জুর কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর রাজধানীর টিকাটুলির রাজধানী ও নিউ রাজধানী সুপার মার্কেটের কয়েকশ' ব্যবসায়ীরা আনন্দ মিছিল করে উল্লাস প্রকাশ করেন। কিন্তু কেন তারা এই উল্লাস প্রকাশ করছেন কিংবা তাদের খুশি হওয়ার কারণই বা কি? নাকি কাউন্সিলর পরিচরের বাইরে তার আর কোনো পরিচয় রয়েছে?
৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মঞ্জু ওয়ারি থানা আওয়ামী লীগের একজন ‘সম্মানীয় সদস্য। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের গত কমিটিতেও সদস্য হিসেবে ছিলেন তিনি। টিকাটুলির রাজধানী সুপার মার্কেট ও নিউ রাজধানী সুপার মার্কেটে চাঁদাবাজি, অবৈধ দখলদারির পাশাপাশি মাদকের কারবারের অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। অবশ্য তিনি নিজে বরাবরই তা অস্বীকার করেছেন।
সম্প্রতি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে দুর্নীতিবিরোধী শুদ্ধি অভিযান শুরু হলে নতুন করে তার নাম সামনে আসে। সিটি করপোরেশনের সভায় অনুপস্থিতির কারণে এ সপ্তাহের শুরুতে যে দক্ষিণ সিটির যে ২১ কাউন্সিলরকে কারণ দর্শাও নোটিস পাঠানো হয়েছে, তাদের মধ্যে মঞ্জু একজন।
গতকাল বুধবার বিকালে ওয়ারী থানায় এ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির মামলা হয়। সেই মামলা পরিপ্রেক্ষিতেই থেকে তাকে খোঁজা হচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, তিনি তার কার্যালয়ে আত্মগোপন করে আছেন। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার গ্রেফতারের পর র্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল শফিউল্লাহ বুলবুল বলেন, কাউন্সিলর মঞ্জুর বিরুদ্ধে অবৈধ দখলদারি, চাঁদাবাজি, মাদক কারবার ও জুয়ার আসর পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতারের সময় তার কার্যালয় থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র ও মাদক জব্দ করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব