ফুটফুটে নবজাতকের কি অপরাধ। কেন তাকে মহাসড়কের পাশে ফেল রাখা হল। জন্ম নেয়াই কি আজন্ম পাপ। কোন পাষণ্ড এমন কাজ করলো? রংপুরে এমন হাজারো প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে একটি নবজাতককে ঘিরে।
রবিবার সকালে নগরীর হাজীরহাট থানা এলাকার হজ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে কে বা কারা এই নবজাতককে (ছেলে) রাস্তার পাশে ফেলে চলে যায়। এক থেকে দুই দিন বয়সী এই নবজাতককে স্থানীয় এক নারী উদ্ধার করে তার শ্বশুরকে জানান। পরে তাকে হাজিরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
নবজাতককে থানায় নেয়া হলে অনেকেই দেখার জন্য থানায় ভিড় জমায়। অনেকেই শিশুটিকে দত্তক নেয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। পরে নবজাতককে রমেক হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসায় কিছুটা সুস্থ হলে তাকে বিকেলে রংপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত -১ এ পাঠানো হয়। নবজাতকটিকে দত্তক চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তারাগঞ্জ মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও কুর্শা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. কামরুজ্জামান।
সন্ধ্যায় আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর আলম নবজাতককে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসার জন্য প্রেরণের নির্দেশ দেন। সেই সাথে এবিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাজিরহাট থানার ওসি, জেলা শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভাপতি ও সমাজ সেবা অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেয়া হয়। আবেদনের শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ আগামী ১০ ডিসেম্বর ধার্য্য করেন।
হাজিরহাট থানার ওসি জানান, নবজাতকের বয়স আনুমানিক এক থেকে দু’দিন হবে। তাকে কেন রাস্তার পাশে এভাবে ফেলে রাখা হল এ বিষয়টি পুলিশ গুরুত্ব সহকারে দেখছে। তদন্ত করা হচ্ছে কেন এই ফুটফুটে শিশুটিকে অমানবিকভাবে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হল। আমরা শিশুটি উদ্ধার করে প্রথমে চিকিৎসার জন্য রমেক হাসপাতালে পাঠাই। সেখান থেকে শিশুটিকে কোথায় রাখা হবে এই সিদ্ধান্তের জন্য আদালতে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে একটি জিডি করা হয়েছে।'
বিডি-প্রতিদিন/শফিক