শিরোনাম
- ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলো গভীর নিম্নচাপটি
- আজ ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’
- ভোটকেন্দ্রের তালিকা চূড়ান্ত, প্রকাশ হবে আজ
- ভারতে পালানোর সময় শামীম ওসমানের সহযোগী আজিজ গ্রেফতার
- শাহজালালে অগ্নিকাণ্ড তদন্তে সহায়তায় ঢাকায় তুরস্কের বিশেষজ্ঞ দল
- মৌসুমের প্রথম এল ক্ল্যাসিকো জিতল রিয়াল
- ড্যাফোডিল ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, গাড়িতে আগুন
- আবারও প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন কমলা হ্যারিস
- ২৫ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৫ হাজার কোটি টাকা
- সোমবার ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ : ইসি সচিব
- অবশেষে চীন-ভারত সরাসরি ফ্লাইট চালু
- মালয়েশিয়ায় ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ
- সৌদিতে সাত দিনে ২২ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেফতার
- শ্রীলঙ্কার দুই বিমানবালাকে মারধরের অভিযোগে সৌদি যুবক গ্রেফতার
- অ্যাঞ্জেলিক এয়ার ফ্রেশনারের নতুন দুই ভ্যারিয়েন্ট উন্মোচন
- যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচিত করতে হবে : মাসুদ সাঈদী
- যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ার নতুন বাণিজ্যচুক্তি সই
- আবারও পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী-সেনাপ্রধানের ভূয়সী প্রশংসা করলেন ট্রাম্প
- নতুন কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে লক্ষ্মীপুরে ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল
- বাগেরহাটে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ
রামেক হাসপাতালে নবজাতকদের জন্য স্পেশাল কেয়ার ইউনিট
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক (০ থেকে ২৮ দিন) শিশুদের জন্য তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক ৪০ বেডের স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ণ ইউনিট। এই ইউনিটের প্রায় সিংহভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তবে সরবরাহকৃত অক্সিজেন ও বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন হলেই চালু করা হবে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের এই ইউনিটটি। ইউনিট চালু হলে বেডের সংকট সমাধানসহ নবজাতক শিশুদের সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা যাবে।
রামেক হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে নবজাতক শিশুদরে বেডের সংকট ছিল। চাহিদার বেডের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি শিশুরোগীকে সেবা দিতে হিমসিম খেতে হয়েছে প্রতিনিয়ত। আবার শিশুদের এক সঙ্গে চার-পাঁচজনকে একই বেডে রেখে সেবা দিতে হয়েছে। এজন্য একজন শিশুর ভাইরাসের ও ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা আরেক শিশুর শরীরে প্রবেশ করে আক্রান্ত হয়েছে।
দীর্ঘ সময়ে প্রতিনিয়ত এমন অবস্থায় সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়াও চিকিৎসকদের জন্য ছিলো চ্যালেঞ্জের। শিশু বিভাগে তিনটি ইউনিট মিলে বেড সংখ্যা ১২০টি। কিন্তু প্রতিনিয়ত রোগী ভর্তি হয় চার শতাধিক। এমন অবস্থায় প্রতিটি সময় চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেবা দিয়েছে কর্মরত চিকিৎসক নার্সরা।
গত মঙ্গলবার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, বাচ্চাদের জন্য মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য কেএমসির আলাদা বেড। পাশেই থাকবে ল্যাব, এরপরে চেঞ্জিং ব্যবস্থা, এরপরেই প্রথম অবস্থায় থাকছে এনআইসিইউ এর ৭টি বেড, যেখানে প্রথম অবস্থায় বাচ্চাদের রাখা হবে। পরে এই বেডের বাচ্চাদের রাখা হবে স্টেপ ডাউন বেডে এখানে বেডের সংখ্যা থাকছে মোট ৯টি।
স্টেপ ডাউনের পরে আসবে সেপটিক এরিয়া বেড, এখানে বেড থাকবে ১১টি। সেপটিক বেডের পরে নন সেপটিক এরিয়া বেডে মোট বেড থাকবে ১৩টি। এই বেডের কার্যক্রম প্রক্রিয়াটি শুরু হয় দেড় বছর আগে ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে। বর্তমানে ওয়ার্ডের ২৭টি সরঞ্জাম বসানোর কাজ শেষ। আর ওয়ার্ডে সরবরাহকৃত অক্সিজেন, বিদ্যুৎ স্থাপন এবং ৯টি এসি যুক্ত হলেই এই ইউনিটটি চালু করা হবে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. বেলাল উদ্দিন জানান, বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর হার হাজারে ৩৮টি। এর মাঝে দুই তৃতীয়াংশ নবজাতক হচ্ছে কম ওজনের জন্ম নেওয়া বাচ্চারা। এই বাচ্চাগুলো বেশিরভাগ সংক্রমন হয়। যার মাঝে সেপ্টিসিমা হয়। এই বাচ্চাগুলোকে যদি আমরা আলাদাভাবে চিকিৎসা দিতে পারি, তবে এই শিশু মৃত্যুর হার অনেক কমে যাবে।
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, বর্তমান সরকার ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় নতুন এই ইউনিটটি দ্রæতই চালু হবে। সব কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন শুধু অক্সিজেন ও বিদ্যুতের কিছু কাজ আছে, তারপরই ইউনিটটি চালু করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ
এই বিভাগের আরও খবর