শিরোনাম
- দেশের সব গ্যাস কূপে ড্রিলিং কাজ ৭২ ঘণ্টা বন্ধ রাখার পরামর্শ
- রাজধানী ঢাকায় আজ কোথায় কোন কর্মসূচি
- ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোর নিরাপত্তাঝুঁকি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি
- তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বুড়িচংয়ে দোয়া মাহফিল
- ধর্মের দোহাই দিয়ে টিকেট বিক্রি করে কাজ হবে না: তানিয়া রব
- জবিতেও ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে রবিবার
- সোনারগাঁয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মান্নানের সম্প্রীতি সমাবেশ
- ভূমিকম্প: ঢাবিতে রবিবারের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত
- নোয়াখালীতে প্রয়াত ১০৯ বিএনপি নেতাকর্মীর পরিবারকে ক্রেস্ট ও সংবর্ধনা
- তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিনির্মাণে ধানের শীষের বিকল্প নেই: দুলু
- ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
- বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে নারীরা সুরক্ষিত থাকে: শামা ওবায়েদ
- নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
- 'তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে প্রতিটি পরিবারের হাতে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে'
- মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
- বাগেরহাটে কবি হিমেল বরকতের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
- ঢাকায় ভূমিকম্পে নিহত বগুড়ার রাফিউলের দাফন সম্পন্ন
- ‘নির্বাচনকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে’
- বিমান বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা
- বিক্রি হয়ে গেল দ্য টেলিগ্রাফ
রামেক হাসপাতালে নবজাতকদের জন্য স্পেশাল কেয়ার ইউনিট
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক (০ থেকে ২৮ দিন) শিশুদের জন্য তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক ৪০ বেডের স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ণ ইউনিট। এই ইউনিটের প্রায় সিংহভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তবে সরবরাহকৃত অক্সিজেন ও বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন হলেই চালু করা হবে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের এই ইউনিটটি। ইউনিট চালু হলে বেডের সংকট সমাধানসহ নবজাতক শিশুদের সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা যাবে।
রামেক হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে নবজাতক শিশুদরে বেডের সংকট ছিল। চাহিদার বেডের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি শিশুরোগীকে সেবা দিতে হিমসিম খেতে হয়েছে প্রতিনিয়ত। আবার শিশুদের এক সঙ্গে চার-পাঁচজনকে একই বেডে রেখে সেবা দিতে হয়েছে। এজন্য একজন শিশুর ভাইরাসের ও ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা আরেক শিশুর শরীরে প্রবেশ করে আক্রান্ত হয়েছে।
দীর্ঘ সময়ে প্রতিনিয়ত এমন অবস্থায় সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়াও চিকিৎসকদের জন্য ছিলো চ্যালেঞ্জের। শিশু বিভাগে তিনটি ইউনিট মিলে বেড সংখ্যা ১২০টি। কিন্তু প্রতিনিয়ত রোগী ভর্তি হয় চার শতাধিক। এমন অবস্থায় প্রতিটি সময় চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেবা দিয়েছে কর্মরত চিকিৎসক নার্সরা।
গত মঙ্গলবার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, বাচ্চাদের জন্য মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য কেএমসির আলাদা বেড। পাশেই থাকবে ল্যাব, এরপরে চেঞ্জিং ব্যবস্থা, এরপরেই প্রথম অবস্থায় থাকছে এনআইসিইউ এর ৭টি বেড, যেখানে প্রথম অবস্থায় বাচ্চাদের রাখা হবে। পরে এই বেডের বাচ্চাদের রাখা হবে স্টেপ ডাউন বেডে এখানে বেডের সংখ্যা থাকছে মোট ৯টি।
স্টেপ ডাউনের পরে আসবে সেপটিক এরিয়া বেড, এখানে বেড থাকবে ১১টি। সেপটিক বেডের পরে নন সেপটিক এরিয়া বেডে মোট বেড থাকবে ১৩টি। এই বেডের কার্যক্রম প্রক্রিয়াটি শুরু হয় দেড় বছর আগে ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে। বর্তমানে ওয়ার্ডের ২৭টি সরঞ্জাম বসানোর কাজ শেষ। আর ওয়ার্ডে সরবরাহকৃত অক্সিজেন, বিদ্যুৎ স্থাপন এবং ৯টি এসি যুক্ত হলেই এই ইউনিটটি চালু করা হবে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. বেলাল উদ্দিন জানান, বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর হার হাজারে ৩৮টি। এর মাঝে দুই তৃতীয়াংশ নবজাতক হচ্ছে কম ওজনের জন্ম নেওয়া বাচ্চারা। এই বাচ্চাগুলো বেশিরভাগ সংক্রমন হয়। যার মাঝে সেপ্টিসিমা হয়। এই বাচ্চাগুলোকে যদি আমরা আলাদাভাবে চিকিৎসা দিতে পারি, তবে এই শিশু মৃত্যুর হার অনেক কমে যাবে।
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, বর্তমান সরকার ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় নতুন এই ইউনিটটি দ্রæতই চালু হবে। সব কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন শুধু অক্সিজেন ও বিদ্যুতের কিছু কাজ আছে, তারপরই ইউনিটটি চালু করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর