শিরোনাম
- সাড়ে ৯ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে খালেদা জিয়া
- সাদিয়া আয়মানের অভিনয়ে মুগ্ধ অনিরুদ্ধ রায়
- গাইবান্ধা কারাগারে অসুস্থ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
- আদাবরের শীর্ষ ছিনতাইকারী ‘চোরা রুবেল’ গ্রেপ্তার
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
- শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দিতে বিভাগীয় শহরে বাস দিল জবি
- ভূমিকম্প অনিশ্চিত তাই বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগ নেই: প্রাথমিক শিক্ষা উপদেষ্টা
- ঢাকা মেডিকেলে একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ
- বাগেরহাটে ৩ বান্ধবীকে শ্লীলতাহানি ও একজনকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
- হাসিনা-কামালকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেওয়া হয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটিতে বিবিএ কার্নিভাল-৩ অনুষ্ঠিত
- নভেম্বরের ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২১৩ কোটি ডলার
- ফ্যাসিজম সহ্য করা হবে না, নিজেরাও ফ্যাসিষ্ট হবো না: তানিয়া রব
- বন্ধ কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন
- ৮১ দেশি পর্যবেক্ষকের সঙ্গে ইসির সংলাপ ২৫ নভেম্বর
- ‘ফ্যামিলি ম্যান থ্রি’: মনোজ নয়, জয়দীপের সিজন?
- টিকটক ইউজারদের জন্য চালু হলো টাইম অ্যান্ড ওয়েল-বিয়িং ফিচার
- পটুয়াখালীতে হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
- বাংলাদেশের কাল ব্রুনাই চ্যালেঞ্জ
রামেক হাসপাতালে নবজাতকদের জন্য স্পেশাল কেয়ার ইউনিট
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক (০ থেকে ২৮ দিন) শিশুদের জন্য তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক ৪০ বেডের স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ণ ইউনিট। এই ইউনিটের প্রায় সিংহভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তবে সরবরাহকৃত অক্সিজেন ও বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন হলেই চালু করা হবে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের এই ইউনিটটি। ইউনিট চালু হলে বেডের সংকট সমাধানসহ নবজাতক শিশুদের সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা যাবে।
রামেক হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে নবজাতক শিশুদরে বেডের সংকট ছিল। চাহিদার বেডের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি শিশুরোগীকে সেবা দিতে হিমসিম খেতে হয়েছে প্রতিনিয়ত। আবার শিশুদের এক সঙ্গে চার-পাঁচজনকে একই বেডে রেখে সেবা দিতে হয়েছে। এজন্য একজন শিশুর ভাইরাসের ও ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা আরেক শিশুর শরীরে প্রবেশ করে আক্রান্ত হয়েছে।
দীর্ঘ সময়ে প্রতিনিয়ত এমন অবস্থায় সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়াও চিকিৎসকদের জন্য ছিলো চ্যালেঞ্জের। শিশু বিভাগে তিনটি ইউনিট মিলে বেড সংখ্যা ১২০টি। কিন্তু প্রতিনিয়ত রোগী ভর্তি হয় চার শতাধিক। এমন অবস্থায় প্রতিটি সময় চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেবা দিয়েছে কর্মরত চিকিৎসক নার্সরা।
গত মঙ্গলবার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, বাচ্চাদের জন্য মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য কেএমসির আলাদা বেড। পাশেই থাকবে ল্যাব, এরপরে চেঞ্জিং ব্যবস্থা, এরপরেই প্রথম অবস্থায় থাকছে এনআইসিইউ এর ৭টি বেড, যেখানে প্রথম অবস্থায় বাচ্চাদের রাখা হবে। পরে এই বেডের বাচ্চাদের রাখা হবে স্টেপ ডাউন বেডে এখানে বেডের সংখ্যা থাকছে মোট ৯টি।
স্টেপ ডাউনের পরে আসবে সেপটিক এরিয়া বেড, এখানে বেড থাকবে ১১টি। সেপটিক বেডের পরে নন সেপটিক এরিয়া বেডে মোট বেড থাকবে ১৩টি। এই বেডের কার্যক্রম প্রক্রিয়াটি শুরু হয় দেড় বছর আগে ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে। বর্তমানে ওয়ার্ডের ২৭টি সরঞ্জাম বসানোর কাজ শেষ। আর ওয়ার্ডে সরবরাহকৃত অক্সিজেন, বিদ্যুৎ স্থাপন এবং ৯টি এসি যুক্ত হলেই এই ইউনিটটি চালু করা হবে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. বেলাল উদ্দিন জানান, বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর হার হাজারে ৩৮টি। এর মাঝে দুই তৃতীয়াংশ নবজাতক হচ্ছে কম ওজনের জন্ম নেওয়া বাচ্চারা। এই বাচ্চাগুলো বেশিরভাগ সংক্রমন হয়। যার মাঝে সেপ্টিসিমা হয়। এই বাচ্চাগুলোকে যদি আমরা আলাদাভাবে চিকিৎসা দিতে পারি, তবে এই শিশু মৃত্যুর হার অনেক কমে যাবে।
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, বর্তমান সরকার ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় নতুন এই ইউনিটটি দ্রæতই চালু হবে। সব কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন শুধু অক্সিজেন ও বিদ্যুতের কিছু কাজ আছে, তারপরই ইউনিটটি চালু করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ
এই বিভাগের আরও খবর