শিরোনাম
- গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের
- গাজাবাসীকে ফের জোরপূর্বক উচ্ছেদের নিন্দায় পোপ
- স্বর্ণের দাম কমেছে
- ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
- ছাত্র সংসদ আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : টুকু
- যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনা বন্ধ করলো কলম্বিয়া
- রেমিট্যান্স প্রবাহে ২৮.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি
- বিশ্ব বাণিজ্যে রূপান্তর ঘটাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা
- আবারও রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
- দুর্গাপূজা ঘিরে স্বৈরাচারের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে : তারেক রহমান
- র্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু
- ‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
- শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না
- ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
- ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’ এ উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ অনুশীলন
- ‘পিআর পদ্ধতির দাবি জনগণের প্রত্যাশার প্রতি মুনাফেকি’
- ফেব্রুয়ারিতেই স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা
- দুর্গাপূজায় কোনো ধরনের হুমকি নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- হাসিনার আরও দুটি লকার জব্দ
রামেক হাসপাতালে নবজাতকদের জন্য স্পেশাল কেয়ার ইউনিট
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক (০ থেকে ২৮ দিন) শিশুদের জন্য তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক ৪০ বেডের স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ণ ইউনিট। এই ইউনিটের প্রায় সিংহভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তবে সরবরাহকৃত অক্সিজেন ও বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন হলেই চালু করা হবে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের এই ইউনিটটি। ইউনিট চালু হলে বেডের সংকট সমাধানসহ নবজাতক শিশুদের সঠিকভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা যাবে।
রামেক হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে নবজাতক শিশুদরে বেডের সংকট ছিল। চাহিদার বেডের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি শিশুরোগীকে সেবা দিতে হিমসিম খেতে হয়েছে প্রতিনিয়ত। আবার শিশুদের এক সঙ্গে চার-পাঁচজনকে একই বেডে রেখে সেবা দিতে হয়েছে। এজন্য একজন শিশুর ভাইরাসের ও ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা আরেক শিশুর শরীরে প্রবেশ করে আক্রান্ত হয়েছে।
দীর্ঘ সময়ে প্রতিনিয়ত এমন অবস্থায় সঠিকভাবে চিকিৎসা দেওয়াও চিকিৎসকদের জন্য ছিলো চ্যালেঞ্জের। শিশু বিভাগে তিনটি ইউনিট মিলে বেড সংখ্যা ১২০টি। কিন্তু প্রতিনিয়ত রোগী ভর্তি হয় চার শতাধিক। এমন অবস্থায় প্রতিটি সময় চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেবা দিয়েছে কর্মরত চিকিৎসক নার্সরা।
গত মঙ্গলবার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, বাচ্চাদের জন্য মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য কেএমসির আলাদা বেড। পাশেই থাকবে ল্যাব, এরপরে চেঞ্জিং ব্যবস্থা, এরপরেই প্রথম অবস্থায় থাকছে এনআইসিইউ এর ৭টি বেড, যেখানে প্রথম অবস্থায় বাচ্চাদের রাখা হবে। পরে এই বেডের বাচ্চাদের রাখা হবে স্টেপ ডাউন বেডে এখানে বেডের সংখ্যা থাকছে মোট ৯টি।
স্টেপ ডাউনের পরে আসবে সেপটিক এরিয়া বেড, এখানে বেড থাকবে ১১টি। সেপটিক বেডের পরে নন সেপটিক এরিয়া বেডে মোট বেড থাকবে ১৩টি। এই বেডের কার্যক্রম প্রক্রিয়াটি শুরু হয় দেড় বছর আগে ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে। বর্তমানে ওয়ার্ডের ২৭টি সরঞ্জাম বসানোর কাজ শেষ। আর ওয়ার্ডে সরবরাহকৃত অক্সিজেন, বিদ্যুৎ স্থাপন এবং ৯টি এসি যুক্ত হলেই এই ইউনিটটি চালু করা হবে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. বেলাল উদ্দিন জানান, বাংলাদেশে শিশু মৃত্যুর হার হাজারে ৩৮টি। এর মাঝে দুই তৃতীয়াংশ নবজাতক হচ্ছে কম ওজনের জন্ম নেওয়া বাচ্চারা। এই বাচ্চাগুলো বেশিরভাগ সংক্রমন হয়। যার মাঝে সেপ্টিসিমা হয়। এই বাচ্চাগুলোকে যদি আমরা আলাদাভাবে চিকিৎসা দিতে পারি, তবে এই শিশু মৃত্যুর হার অনেক কমে যাবে।
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, বর্তমান সরকার ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় নতুন এই ইউনিটটি দ্রæতই চালু হবে। সব কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে। এখন শুধু অক্সিজেন ও বিদ্যুতের কিছু কাজ আছে, তারপরই ইউনিটটি চালু করা হবে।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ
এই বিভাগের আরও খবর