ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের যাত্রা শুরু হওয়ায় উচ্ছ্বসিত ভাঙ্গাবাসী। তারা আনন্দিত, উদ্বেলিত। ৫৫ কিলোমিটারের এই পথ এখন অত্যাধুনিক। ভাঙ্গার পথে ঘাটে আজ প্রধান আলোচনার বিষয় এটি। নজরুল ইসলাম নামে জুয়েলার্স ব্যবসায়ী বলেন, এই এক্সপ্রেসওয়ে চালু হওয়ায় আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের দরজা আরও খুলে গেল। ভাঙ্গাবাসীর ভাগ্য আরও প্রসারিত হলো।
ভাঙ্গা বাজারের কাগজ ও কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ী অলিউর রহমান ঠাকুর বলেন, যেখানে আগে ঢাকা যেতে ৪ ঘণ্টা লাগত সেখানে এক ঘণ্টায় যানজট মুক্ত, ধুলো ময়লামুক্ত সুন্দরভাবে ঢাকা যাওয়া যাবে। ব্যবসায়ীদের জন্য এটা একটা বড় সুযোগ। ভাঙ্গা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ এইচ এম রেজাউল করিম বলেন, স্বপ্ন আজ বাস্তবে পরিণত হলো। এই এক্সপ্রেসওয়ে এ অঞ্চলের শিক্ষার উন্নয়নেও ভূমিকা রাখবে। বেকারদের কর্মসংস্থান বাড়বে।
ভাঙ্গার ঘারুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সফিউদ্দিন মোল্লা বলেন, ভাঙ্গা এলাকায় এখন নতুন নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে। বেকারদের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। এ অঞ্চলের লোক এখন বাড়ি থেকে গিয়ে ঢাকায় অনায়াসে চিকিৎসা নিতে পারবে। জনভোগান্তি অনেক কমে যাবে। ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোবাহান মুন্সী বলেন, আমরা মনে করি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে দৃশ্যমান হলো। এটি উন্নয়নের মাইল ফলক। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।
ঢাকা-কুয়াকাটা রুটের বনফুল পরিবহনের চালক মোকলেচুর রহমান বলেন, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত আমাদের সময় অনেক কম লাগবে। সড়কে আগে নিয়ম শৃঙ্খলা ছিল না। এখন চালকরা তাদের নিয়ম অনুযায়ী গাড়ি চালাতে পারবে। যার যার জায়গা দিয়ে সেই সেই গাড়ি চালাবে। এলোপাথারী গাড়ি চলার সুযোগ নেই। সড়কে দুর্ঘটনা এখন কম হবে।
ফরিদপুর জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ও ভাঙ্গা উপজেলা কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবাস চন্দ্র মন্ডল বলেন, উন্নয়ন দৃশ্যমান। সার্বিকভাবে উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু এই এক্সপ্রেসওয়ের সাথে ভ্যান-রিকশা চলার সুযোগ থাকলে প্রান্তিক মানুষ এর সুফল আরও বেশি পেত।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক