বিশ্ব গ্লোকমা সপ্তাহ উদযাপন করেছে ঢাকা আই কেয়ার হসপিটাল, উত্তরা। এ উপলক্ষ্যে দিনব্যাপী বিনামূল্যে ̈চোখের চাপ পরীক্ষা এবং গ্লোকমা রোগ শনাক্তকরণ কর্মসূচী পালন করা হয়।
গ্লোকমা রোগ সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে একটি সেমিনার আয়োজন করা হয়। সেমিনারে গ্লোকমা রোগ এবং এর প্রতিরোধ সম্পর্কে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন গ্লোকমা রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা: হারুন-উর-রশীদ। তিনি বলেন, অনিরাময়যোগ্য অন্ধত্বের প্রধানতম কারণ চোখের গ্লোকমা রোগ। গ্লোকমা রোগটি হলো “দৃষ্টির নিরব ঘাতক”। বাংলাদেশে প্রায় ৩ শতাংশ মানুষ গ্লোকমা রোগে আক্রান্ত। বাংলাদেশে প্রায় ৯৬ শতাংশ গ্লোকমা রোগী জানে না তারা গ্লোকমা রোগে আক্রান্ত।
সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, গ্লোকমা একটি পারিবারিক অসুখ এবং পরিবারের সকলকেই গ্লোকমার পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন তাদের গ্লোকমা আছে কি না।
গ্লোকমা সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে গ্লোকমা রোগ শনাক্তকরণ এবং শুরুতেই চিকিৎসা গ্লোকমাজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধের একমাত্র উপায়।
ঢাকা আই কেয়ার হসপিটালের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা: গোলাম সরওয়ার, বাংলাদেশ গ্লোকমা সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা: মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ গ্লোকমা সমিতির মহাসচিব ডা: সালমা পারভীনসহ বাংলাদেশ গ্লোকমা সমিতির সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ এবং অধ্যাপক ডা: হারুন-উর-রশীদের মাতা হাছিনা সরওয়ার অনুষ্ঠানে উপিস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা