আগামী ২৯ মার্চ বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে উপ-নির্বাচন। প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট ও দোয়া প্রার্থনা করছেন। একদিকে করোনাভাইরাস অপরদিকে নির্বাচনী আচরনবিধি ভঙ্গের আশংকায় বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থীরা সমাবেশ করছেন না। করোনার আশঙ্কায় তারা সমাবেশ না করে শুধুমাত্র গণসংযোগ করছেন। মূল প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীসহ এই আসনের ৬ জন প্রার্থী পৃথক পৃথক ভাবে গণসংযোগ, পথসভা ও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট ও দোয়া প্রার্থনা করছেন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী (নৌকা) শাহাদারা মান্নান শিল্পী ও তার ছেলে শাখাওয়াত হোসেন সজল এবং দলীয় নেতৃবৃন্দ সোনাতলা উপজেলার ভেলুরপাড়া, হলিদাবগা ও সোনাতলা পৌর এলাকার বিভিন্ন এলাকায় দিনভর গণসংযোগ করেন। সকালে ওই এলাকায় তিনি নারী ভোটারদের সঙ্গে ছোট আকারে একাধিক উঠন বৈঠক করেন। দুপুরের পর তিনি পৌর এলাকার সদরের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। এসময় তার সঙ্গে আরও ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. মিনহাদুজ্জামান লীটন ও কৃষিবিদ মাহবুবুল হক মনুসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
এদিকে, বিএনপির প্রার্থী (ধানের শীষ) একেএম আহনাসানুল তৈয়ব জাকির গত শুক্রবার গণসংযোগ করেন সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। এছাড়াও তিনি গত বুধবার সকাল থেকে তেকানী এলাকায় গণসংযোগ করেন। তিনি একাধিক স্থানে ও বাজার এলাকায় ভোটারদের সঙ্গে বৈঠক এবং পথসভা করেন। এছাড়া বিকেলে তিনি আড়িয়াঘাট এলাকায় পথসভা করেন।
বিএনপি প্রার্থী আহসানুল তৈয়ব জাকির বলেন, আমরা কোন সমাবেশ করছি না, আমি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গণসংযোগ ও ছোট ছোট বৈঠকের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। জাতীয় পার্টি মনোনিত প্রার্থী অধ্যক্ষ মোকছেদুল আলম গতকাল শুক্রবার সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় লাঙ্গল প্রতীকে ভোট চেয়ে গণসংযোগ করেন। অপরদিকে বটগাছ ও বাঘ প্রতীকের প্রাথীদের গত শুক্রবার সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক