সাভারের আশুলিয়ায় নিজ ভাড়া বাসার একটি তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে এক গার্মেন্ট শ্রমিক তরুণীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পরিচয়দানকারী শরিফুল ইসলাম নামে এক যুবক পলাতক রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে আশুলিয়ার তৈয়বপুর এলাকায় ইয়ারপুর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি হাজী জিল্লুর রহমানের মালিকানাধীন বাড়ির ভাড়া দেয়া একটি কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত শাহিনা খাতুন (২৫) এর গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানার চরসাদীপুর গ্রামে। সে আশুলিয়ার তৈয়বপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে সাভারের হেমায়েতপুরে একটি কারখানায় স্যুইং অপারেটর হিসেবে কাজ করতো। পলাতক শরিফুল ইসলাম নামে নিহতের স্বামী পরিচয়দানকারী ব্যক্তি কুষ্টিয়া জেলার আলমডাঙ্গা থানার বড় গাংচিল এলাকার মইনুল হকের ছেলে বলে জানা গেছে।
বাড়ির মালিক জিল্লুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম জানান, গত ১ মার্চ তরুণী শাহিনা খাতুন ও তার সাথে আসা শরিফুল ইসলাম নামে এক যুবক নিজেদের দম্পতি পরিচয় দিয়ে তাদের শ্রমিক কলোনীর একটি কক্ষ ভাড়া নেয়। এরপর গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন সকাল থেকে তাদের কক্ষের দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে শনিবার সকালে কক্ষের ভিতর থেকে দুর্গন্ধ বের হলে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। দুপুরে পুলিশ তালা ভেঙ্গে কক্ষে প্রবেশ করে ওই তরুণীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফজর আলী জানান, কক্ষের তালা ভেঙ্গে শাহিনা নামে এক গার্মেন্ট শ্রমিক তরুণীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে। ওই তরুণীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার স্বামী পরিচয়দানকারী যুবক শরিফুল পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এঘটনায় পলাতক শরিফুলকে আটকের পাশাপাশি থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল