বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে খুলনার উপকূলীয় এলাকায় নদীর জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই মধ্যে বুধবার দুপুরে কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী আংটিহারা ও গোলখালি এলাকায় জোয়ারের পানি পাউবো’র বেড়িবাঁধ ছাপিয়ে লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করেছে। এখানকার প্রায় এক কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। তাৎক্ষনিকভাবে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেছে। তবে যে কোন সময় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
স্থানীয় স্বাধীন সমাজকল্যাণ যুব সংস্থার সভাপতি মো. আবু সাঈদ খান জানান, বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে জোয়ারের পানি বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে ঢুকতে থাকে। বিকালে বা রাতে জোয়ারের পানি আরও বাড়লে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।
জানা যায়, সংস্কারের অভাবে খুলনার কয়রায় প্রায় ২৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। উপজেলার জোড়শিং বাজারসহ কয়েকটি এলাকায় বেড়িবাঁধের মাটি নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। কয়রার ইউপি চেয়ারম্যান জিএম শামসুর রহমান বলেন, জোড়শিং বাজারসহ দক্ষিণ বেদকাশি এলাকার বেড়িবাঁধের নাজুক অবস্থা সম্পর্কে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে (পাউবো) আগেই কয়েকবার জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা গুরুত্ব না দেয়ায় ভাঙনে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এদিকে তিনমাস ধরে কয়রা সদর এলাকার ঘাটাখালি, হরিণখোলা এলাকায় যেনতেনভাবে বেড়িবাঁধের কাজ হলেও জোয়ারের সময় বাঁধের নীচের ছিদ্র দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে।
কয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিমুল কুমার সাহা জানান, কয়রার ৪৭টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভরা জোয়ারের সময় ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ