রংপুরে করোনা দুর্যোগেও থেমে নেই মাদকের রমরমা বাণিজ্য। গত ৩ মাসে শুধু র্যাব-১৩ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৫৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। এসময় প্রায় ৭০০ কেজি গাঁজা, ৯ হাজার পিস ইয়াবা, দেড় হাজার পিস ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া করোনা দুর্যোগে র্যাবের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাব-১৩ সূত্রে জানা গেছে, করোনা দুর্যোগের সুযোগে মাদক ব্যবসায়ীরা তৎপর হয়ে উঠে। তারা বিভিন্ন কৌশলে মাদক দ্রব্য পাচার করতে শুরু করে। গত মার্চ ও এপ্রিল মাসে র্যাব-১৩ অভিযান চালিয়ে ৭ হাজার ২২৪ পিস ইয়াবা, এক হাজার ২৮৭ বোতল ফেনসিডিল ও ৩৮১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে। এসময় ৩৫ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়া একই সময়ে দুইজন জঙ্গি, গুজব রটনাকারী দুইজন ও র্যাবের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে ২ এবং একজন প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া একটি ওয়ান শুটারগান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে গত মে মাসে ৮৫১ পিস ইয়াবা, ২৮৮ বোতল ফেনসিডিল ও ৩০১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় ১৯ জন মাদক ব্যবসায়ী, একজন জঙ্গি, গুজব রটনাকারী ১ জন এবং র্যাবের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়া করোনার দুর্যোগে র্যাব গত মে মাসে ৪০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। এসময় ভেজাল পণ্য উৎপাদন, খাদ্যদ্রব্যে ভেজাল, ফলে রাসায়নিক মিশ্রন, ভেজাল ওষুধ উদ্ধার, যানবাহনসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৮ লাখ ৯৩ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা আদায় এবং একজনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। এসময় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত ৫টি ট্রাক, ১১টি মোটর সাইকেল ২৩টি মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
র্যার-১৩ এর অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস জানান, করোনা দুর্যোগে র্যাাব জনগণকে সচেনতন করার পাশাপাশি মাদক নির্মূলে অঙ্গীকারাবদ্ধ। কোনো মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড় দেয়া হবে না। করোনা পরিস্থিতি যাই হোক না কেন মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম