রাজধানীর কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে নব্য জেএমবি’র (জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ) নারী শাখার অন্যতম এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের একটি টিম।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) বিকালে সদরঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতের নাম- আয়েশা জান্নাত মোহনা ওরফে জান্নাতুত তাসনিম ওরফে প্রজ্ঞা দেবনাথ (২৫)। গ্রেফতারের সময় তার হেফাজত থেকে ১টি ভারতীয় পাসপোর্ট, ১টি বাংলাদেশের জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট, ১ টি বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ২ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া ওই নারী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ জানায়, সে একজন ভারতীয় নাগরিক। তার বাড়ি পশ্চিমবঙ্গর হুগলি জলার ধনিয়াখালি থানাধীন পশ্চিম কেশবপুর গ্রামে। ২০০৯ সাল নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় সে হিন্দু সনাতন ধর্ম থেকে মুসলিম ধর্মে দীক্ষিত হয়। তারপর থেকে সে ধর্মীয় বিষয় পড়াশুনায় আগ্রহী হয়ে ওঠে। এক পর্যায় অনলাইন বিভিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নব্য জেএমবি নারী শাখার সদস্যের সঙ্গে পরিচয় ঘটে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদশর নব্য জেএমবি’র নারী শাখার প্রধান আসমানী খাতুন ওরফে আসমা ওরফে বদী জীবন এর সাথে তার ঘনিষ্টতা হয় এবং সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করত থাকে।
সে আরও জানায়, ২০১৬ সাল থেকে ভারত থেকে নিয়মিত বিরতিতে সে বাংলাদশ যাতায়াত করত। বিভিন সংগঠনের সস্যদর কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে সংগঠনের কাজ ব্যয় করত। সম্প্রতি বাংলাদশ নাগরিক হওয়ার জন্য একটি ভুয়া জন্মনিবন্ধন তৈরি করে এবং পরবর্তীতে সেটা ব্যবহার করে ভুয়া বাংলাদশি জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে। ইতিমধ্য সে বাংলাদেশের নাগরিক ওমান প্রবাসী আমির হাসন সাদ্দামকে মুঠোফোনের মাধ্যমে বিয় করে। সর্বশেষ স্বামী আমির হাসন সাদ্দামের পরামর্শ গত বছর বাংলাদশে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য চল আসে। এসময় সে ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও নারায়নগঞ্জর ফতুল্লায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে এবং ঐ সব এলাকার বিভিন মাদ্রাসায় পরিচয় গোপন করে শিক্ষকতা করত। সে সংগঠনের হয়ে দাওয়াতী কার্যক্রম এবং সডস্য সংগ্রহর কাজ চালিয় যাছিল। আসমানী গ্রেফতার হওয়ার পরপরই সে মাদ্রাসার চাকরি ছেড়ে আত্মগাপন করে। সে অনলাইন বিভিন আইডি ব্যবহার কর সংগঠনের জন্য পুরুষ সদস্য রিক্রুট করা ও নারী সদস্যদর ধর্মীয় প্রশিক্ষণ প্রদান এবং বিভিন উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ কর নারী সদস্যদর মাঝে বিতরণ করত।
এদিকে, গ্রেফতারকৃতকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামিকে পুলিশ হেফাজত এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্ক আরা বিস্তারিত তথ্য উদঘাটিত হবে। ইতিমধ্য কিছু সদস্যদর সে সংগঠনে রিক্রুট করেছে, তাদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসির