খুলনার খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী গ্রামে গুলিবর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত শেখ জাফরিনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার বিকালে যশোরের বাঘারপাড়া থেকে তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার খন্দকার লুৎফুল কবির।
তিনি বলেন, আটকের পর জাফরিনকে খুলনায় আনা হচ্ছে। এছাড়া শুক্রবার গ্রেফতার হওয়া জাহাঙ্গীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত জাকারিয়া হোসেনকে খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জাকারিয়া ও জাফরিন দুই ভাই।
শনিবার এক বিবৃতিতে নগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, মশিয়ালিতে সংঘটিত ঘটনা দলীয় কোন বিষয় না। ঘটনাটি শুধুমাত্র ব্যক্তি কেন্দ্রিক, যার দায়ভার ওই সকল ব্যক্তির, দলের নয়। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান।
বিবৃতিদাতারা হলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহ্ উদ্দিন জুয়েল, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, নগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত কুমার অধিকারী।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জাকারিয়া ও তার ভাইদের গুলিবর্ষণে নজরুল ফকির (৬৫), গোলাম রসুল (৩৫) ও সাইফুল ইসলাম (২৭) নিহত হয়। এতে ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী প্রতিপক্ষের জিহাদ নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে। এছাড়া হত্যাকারী সন্দেহে কয়েকজনের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসির