বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- মার্কিন নাগরিককে পিটিয়ে হত্যা ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের
- পাশবিক এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে : আসিফ নজরুল
- গাজাকে শিশুদের কবরস্থান বানাচ্ছে ইসরায়েল: জাতিসংঘ
- ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় লেবাননে হতাহত ৬
- গাজায় ত্রাণ নিতে গিয়ে দুই মাসে নিহত ৭৯৮ ফিলিস্তিনি
- হাসিনাকন্যা পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
- ইতিহাস গড়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইতালি
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১২ জুলাই)
- জাতীয়তাবাদের উদ্বিগ্ন হৃদয়
- রেকর্ড বইয়ের পাতায় ইংল্যান্ডের স্মিথ
- বিএনপির আদর্শ ও রাজনীতির সঙ্গে সন্ত্রাস-বর্বরতার কোনো সম্পর্ক নেই : মির্জা ফখরুল
- রাজধানীর মিরপুর থেকে ৫০টি দেশীয় বন্যপ্রাণী উদ্ধার
- ভিন্নমত থাকবে, কিন্তু অপরের মতকে সম্মান করতে হবে : আমীর খসরু
- ভারতের হয়ে যে রেকর্ড এখন শুধুই বুমরাহর
- বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-গোলাগুলির ঘটনায় ১০ নেতা বহিষ্কার
- পদ্মার ভাঙনে জাজিরায় দিশেহারা কয়েক হাজার মানুষ
- আগামী ৭২ ঘণ্টায় ফেনী জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে
- দেশে আসলো নতুন সুপারম্যান, সঙ্গে আছে জ্যাকি চ্যানও
- সাবালেঙ্কাকে হারিয়ে অঘটন, ফাইনালে অ্যানিসিমোভা
- মেয়েকে নিয়ে প্রথমবারের মতো গান গাইলেন ন্যান্সি
রাজশাহী অঞ্চলে বন্যায় সাত লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন

রাজশাহী অঞ্চলে বন্যায় প্রায় সাত লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। নষ্ট হয়েছে ২৭ হাজার ৭৭৩ হেক্টর জমির ফসল। বুধবার এক তথ্য বিবরণীতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
বন্যার কারণে রাজশাহী জেলায় ১১ হাজার ২৩৫ জন, নাটোরে ৩০ হাজার ৫০০ জন, নওগাঁয় ১৮ হাজার ৯৬৮ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৪০০ জন, সিরাজগঞ্জে ৫ লাখ ৪ হাজার এবং বগুড়ায় ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। মোট ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৬ লাখ ৯৮ হাজার ১৯৩ জন।
বন্যায় রাজশাহী জেলার ১১৫ বর্গকিলোমিটার প্লাবিত হয়েছে। নাটোরের সিংড়া, নলডাঙ্গা ও গুরুদাসপুর উপজেলা, ২টি পৌরসভা ও ১৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। নওগাঁ সদর, জেলার মান্দা, আত্রাই, রাণীনগর, পোরশা, সাপাহার ও মহাদেবপুরসহ সাত উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। মান্দা, রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার বাঁধ ও ¯স্লুইসগেট এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এছাড়া সিরাজগঞ্জের কাজীপুর, সদর, বেলকুচি, চৌহালি, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া ও তাড়াশ উপজেলার মোট ১ হাজার ২৮ কিলোমিটার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বগুড়ার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের ১৬৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পাবনার বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। বিভাগের আট জেলার মধ্যে শুধু জয়পুরহাটে এখন পর্যন্ত বন্যা দেখা দেয়নি।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা নদীর ৩ হাজার ৩০০ মিটার ও মহানন্দা নদীর ১ হাজার ৭৫৪ মিটার বাঁধ অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। পদ্মা নদীর পানি এখন বিপদসীমার ১ দশমিক ৬৪ মিটার, মহানন্দা নদীর পানি শূন্য দশমিক ৮৬ মিটার ও পূনর্ভবা নদীর পানি শূন্য দশমিক ৬১ মিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত আছে। রাজশাহীতে ২০ মেট্রিক টন চাল ও ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নগদ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বিতরণ করা হয়েছে ৯৬০ প্যাকেট শুকনো খাবার। নাটোরে ৬৮ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া নওগাঁয় ১৩৫ মেট্রিক টন চাল, ২ লাখ আড়াই হাজার টাকা ও এক হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার; চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই মেট্রিক টন চাল, পাবনায় ৯৫ মেট্রিক টন চাল, সিরাজগঞ্জে ২৮৫ মেট্রিক টন চাল ও ৩ লাখ ৮৯ হাজার টাকা, পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, দুই লাখ টাকার গোখাদ্য ও দুই লাখ টাকার শিশুখাদ্য এবং বগুড়ায় ৬১০ মেট্রিক টন চাল, ১৩ লাখ টাকা, ছয় হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, দুই লাখ টাকার গোখাদ্য এবং দুই লাখ টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। দুর্গত এলাকায় সরকারি সহায়তা অব্যাহত আছে।
এই বিভাগের আরও খবর