বরিশাল নগরীর হাটকোলা হকার্স মার্কেট এলাকায় এক ভাঙারি ব্যবসায়ীর দুই চোখ নষ্ট করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে স্থানীয় মোহাম্মদপুর চরের জনৈক মোবারক হোসেনের ৩ ছেলে গত ৪ ডিসেম্বর সোহাগ খান (৩২) নামে ওই ভাঙারি ব্যবসায়ীর দুই চোখ খুঁচিয়ে নষ্ট করে দেয় বলে অভিযোগ করেন তার স্বজনরা। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ অভিযুক্তদের মধ্যে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। অন্যান্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সোহাগ খান কীর্তণখোলা নদীর তীরবর্তী নগরীর মোহাম্মদপুর চরের বাসিন্দা। ফেরী করে ভাঙারি সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় করে জীবিকা নির্বাহ করতেন তিনি। ওই চরের জমি নিয়ে জনৈক মোবারক হোসেনের সাথে দির্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিলো তার।
সোহাগের ভাই সুজন খান জানান, চরের খাসজমি নিয়ে একই এলাকার মোবারক হোসেনের পরিবারের সঙ্গে তাদের (সোহাগ) পুরনো বিরোধ রয়েছে। এর জের ধরে গত ৪ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার সময় নগরীর হাটখোলা হকার্স মার্কেটে সোহাগের ওপর হামলা চালায় মোবারকের তিন ছেলে সাইফুল, আল আমিন ও রাব্বী। তারা ধাতব বস্তু দিয়ে খুঁচিয়ে সোহাগের দুটি চোখ নষ্ট করে দিয়েছে। আহবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে এবং পরে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার দুটি চোখ চিরতরে নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা তাদের জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
স্থানীয়রা জানান, সোহাগের স্ত্রী ইয়াসমিন বেগম (২৫) আগামী ১০-১২ দিন পর প্রথম সন্তান প্রসব করবেন। কিন্তু তার বাড়িতে আনন্দ নেই। আছে শুধু কান্না। প্রথম সন্তানের মুখ দেখতে পারবেন না, এমন দুঃখে সারাক্ষন কান্নাকাটি করছেন অনাগত সন্তানের বাবা সোহাগ খান।
এ ঘটনায় সোহাগের বড় ভাই মাসুম খান বাদী হয়ে ওইদিনই হামলাকারী ৪ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা করেন। হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মানববন্ধন করে স্থানীয় এলাকাবাসী।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম জানান, এক ব্যক্তির চোখ খুঁচিয়ে নষ্ট করে দেয়ার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় সাইফুল ও আল আমিন নামে দুই সহোদর অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল