পটুয়াখালীতে একটি বিড়ালের বাচ্চা নিয়ে দুই শিশুর ঝগড়ার জের ধরে তাদের অভিভাবকদের সংঘর্ষে আহত এক বৃদ্ধ বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে আলতাফ খান (৬০) নামে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। আলতাফ খান পটুয়াখালী সদর উপজেলার হাজিখালী গ্রামের মৃত হরমুজ খানের ছেলে।
তার স্বজনরা জানান, আলতাফ খানের ভাইয়ের স্ত্রী মরিয়ম বেগমের ঘরে গত সোমবার প্রতিবেশী এক পরিবারের একটি বিড়ালের বাচ্চা আসে। ওই বাচ্চাটি প্রথমে মরিয়মের সাত বছর বয়সের শিশুপুত্র তার কাছে রাখতে চায়। আবার আলতাফের ৮ বছর বয়সী ছেলেও বিড়ালের বাচ্চাটি তাদের ঘরে নিয়ে যেতে চায়। এ নিয়ে দুই শিশুর মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে আলতাফ খানের শিশুপুত্র মরিয়মের শিশুপুত্রকে থাপ্পর মারে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মরিয়মও আলতাফ খানের ছেলেকে মারধর করে।
এ নিয়ে পরদিন মঙ্গলবার সকালে মরিয়ম ও আলতাফ খানের মধ্যে ঝগড়া এবং এক পর্যায়ে মারামারি হয়। এ সময় মরিয়ম মাটিকাটা কোদাল দিয়ে আলতাফের মাথায় আঘাত করে। এতে রক্তাক্ত জখম হয় আলতাফ। আলতাফ সম্পর্কে মরিয়মের ভাসুর। হামলায় গুরুতর আহত আলতাফকে প্রথমে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন বিকেলে তাকে ভর্তি করা হয় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে দুই দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার রাতে আলতাফ খান মারা যান।
শুক্রবার দুপুরে হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানিয়েছেন মেডিকেলে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য শফিকুল ইসলাম।
পটুয়াখালী সদর থানার ওসি আক্তার মোর্শেদ জানান, ঘটনা জানার পর তিনি নিহত আলতাফের বাড়িতে গিয়েছিলেন। মরিয়ম বেগম আত্মগোপন করেছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন ওসি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন