২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৬:৪০

‘ওয়াটার ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশন-২০২১’ শুরু করলো বাংলাদেশ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

‘ওয়াটার ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশন-২০২১’ শুরু করলো বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ওয়াটার মাল্টি-স্টেকহোল্ডারস পার্টনারশিপ (বিডব্লিউ-এমএসপি) এর সাত সদস্য মিলে তরুণদের জন্য ‘ওয়াটার ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশন-২০২১’ (ডব্লিউআইসিসি-২০২১) শীর্ষক এক ভিন্নধর্মী প্রতিযোগিতা শুরু করেছে। 

মঙ্গলবার শুরু হওয়া এই ‘ডব্লিউআইসিসি-২০২১’ প্রতিযোগিতাটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে- ইউনিলিভার পিওরইট,  এ২আই (এস্পায়ার টু ইনোভেট), ঢাকা ওয়াসা, পরিবেশ বিভাগ (ডিওই), ২০৩০ ওয়াটার রিসোর্স গ্রুপ (২০৩০ ডব্লিউআরজি), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)।

মাসব্যাপী এই প্রতিযোগিতাটির উদ্দেশ্য- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ভিত্তিক এমন একটি সমাধান খুঁজে বের করা, যেটি পানি সম্পদের সুরক্ষায় মানুষের অভ্যাসগত পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে। পানির ব্যবহার কমিয়ে আনার পাশাপাশি শিল্পখাতে পানির পুর্নব্যবহার ও শোধনের ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা বাড়াতে উদ্যোগটি দারুণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। 
এছাড়া সুপেয় ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য পানির জন্য অবকাঠামো তৈরিতে সরকারি বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রেও এটি সাহায্য করবে। 

প্রথমবারের মতো আয়োজিত ‘ডব্লিউআইসিসি-২০২১’ প্রতিযোগিতার থিম রাখা হয়েছে, "#WaterSecurity #Innovation #Challenge"। হ্যাকথন ঘরানার এই চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার লক্ষ্য পানির ব্যবহার নজরদারীর জন্য ‘হাউজহোল্ড ওয়াটার ফুটপ্রিন্ট’ ও ‘ইন্ডাস্ট্রি ওয়াটার ফুটপ্রিন্ট’ ব্যবহার করে যথাযথ টুলস ও প্লাটফর্ম খুঁজে বের করা, যেটি নাগরিকদের এবং শিল্পখাতকে পানি সাশ্রয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কবীর বিন আনোয়ার। এছাড়া এ২আই, ইউনিলিভার পিওরইট, পরিবেশ বিভাগ (ডিওই), ঢাকা ওয়াসা, বিসিএস, বেসিস ও ২০৩০ ডব্লিউআরজি এর প্রধান কর্মকর্তারাও এসময় উপস্থিত ছিলেন।

তরুণ উদ্ভাবকদের সম্ভাব্য সমাধানগুলো সামনে নিয়ে আসার পথ সুগম করার লক্ষ্যে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় প্রজেক্ট জমাদান শুরু হয়েছে ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে, যা আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত চলবে। এছাড়া পানি সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তোলার পাশাপাশি দেশের পানির উৎসগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য ওয়েবিনারও অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রতিযোগিতায় জমা পড়া প্রজেক্টের মূল্যায়ন ও স্ক্রিনিং চলবে ১৬ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত। 

এরপর বাছাইকৃত ও উপযুক্ত সমাধানগুলোকে পরামর্শ দেয়ার জন্য একটি বুটক্যাম্পেরও আয়োজন করা হবে। বিচারক প্যানেল বাছাইকৃত সমাধানগুলো নির্বাচন করবেন। সবশেষে টেকনিক্যাল ইভাল্যুয়েশন প্যানেল (টিইপি) স্ক্রিন ও চূড়ান্ত নির্বাচনের মাধ্যমে সেরা উদ্ভাবক দল বাছাই করা হবে। 

তারপর আগামী ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবসে প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে আসরটি অনুষ্ঠিত হবে। এদিন প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত বিজয়ী উদ্ভাবক দলের নাম ঘোষণা করবেন বিচারকরা।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর