বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- গাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের
- গাজাবাসীকে ফের জোরপূর্বক উচ্ছেদের নিন্দায় পোপ
- স্বর্ণের দাম কমেছে
- ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের
- ছাত্র সংসদ আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : টুকু
- যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনা বন্ধ করলো কলম্বিয়া
- রেমিট্যান্স প্রবাহে ২৮.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি
- বিশ্ব বাণিজ্যে রূপান্তর ঘটাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা
- আবারও রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
- দুর্গাপূজা ঘিরে স্বৈরাচারের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে : তারেক রহমান
- র্যাংকিংয়েও আফগানদের টপকে গেল টাইগাররা
- ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু
- ‘পিআর ইস্যুতে আলোচনার টেবিল রেখে রাজপথে যাওয়া স্ববিরোধিতা’
- শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কেউ ভোট দিতে পারবেন না
- ভাঙ্গা থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় নিক্সন চৌধুরীসহ ২৯ জনের নামে মামলা
- ‘অপারেশন প্যাসিফিক এঞ্জেল ২৫-৩’ এ উড্ডয়ন প্রশিক্ষণ অনুশীলন
- ‘পিআর পদ্ধতির দাবি জনগণের প্রত্যাশার প্রতি মুনাফেকি’
- ফেব্রুয়ারিতেই স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর নির্বাচন হবে : প্রধান উপদেষ্টা
- দুর্গাপূজায় কোনো ধরনের হুমকি নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- হাসিনার আরও দুটি লকার জব্দ
রাজশাহীতে মার্কেট খুলে রাখার দাবিতে ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন

লকডাউনেও রাজশাহীতে মার্কেট খুলে রাখার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা। লকডাউন ভেঙে সোমবার সকালে নগরীর সাহেববাজারে রাস্তায় নেমে পড়েন ব্যবসায়ীরা। তারা দাবি করেন, সামনে ঈদ। এই সময়ে তাদের মার্কেট বন্ধ থাকলে আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়বেন। বেলা ১১টার দিকে রাজশাহীর বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীরা সাহেববাজারে আরডিএ মার্কেটের সামনে জড়ো হন। তারা মার্কেটের সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন। সাহেববাজার বড় রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। দোকান খুলে দেওয়ার দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। কেউ কেউ শুয়ে পড়েন রাস্তায়।
পরে পুলিশসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। উপস্থিত হন রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু আসলাম। তিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় ব্যাসায়ীরা তাদের দাবি তুলে ধরেন এবং মার্কেট খোলা না থাকলে তারা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে জানান। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে মার্কেট খোলা রাখার দাবি করেন নেতারা।
রাজশাহী কাপড়পট্টি ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শামিম জানান, গতবছর লকডাউনের কারণে তারা পরিবার নিয়ে ঠিক মতো ঈদ করতে পারেননি। লকডাউন চলছে চলুক, তাদের একটা সময় বেধে দিলে ভালো হবে। সেই সময়ের মধ্যে তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করতে চান। তখন এডিএম আবু আসলাম ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মার্কেট বন্ধের সিদ্ধান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত। এটি স্থানীয় পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আপনারা অনলাইনের মাধ্যমে মালামাল পাঠাতে পারবেন। দোকান খুলে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করার সুযোগ নেই। আমরা এনিয়ে নতুন কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবো না। আমরা আপনাদের দাবিগুলো নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কথা বলবো।
এর পরই ব্যবসায়ী নেতারা বিক্ষোভ কর্মসূচি সমাপ্ত করেন। এ সময় রাজশাহী ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ মামুদ হাসান সাধারণ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। আগামীকাল তারা সিদ্ধান্ত জানাবেন। তারা যদি মার্কেট খোলার অনুমতি দেন, ভালো। না দিলেও আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ দায়িত্বে মার্কেট খুলে দিবো। এরপরই বিক্ষোভকারীরা রাস্তা থেকে সরে যান।
এদিকে লকডাউনের প্রথম দিনে রাজশাহীতে বাস চলাচল করেনি। তবে রাস্তায় রিকশা ও অটোরিকশা চলেছে। যদিও এ সংখ্যা অন্যদিনের তুলনায় কিছুটা কম। রাস্তায় লোকজনের চলাচলও কম রয়েছে। নগরীর বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। তবে পাড়া মহল্লার ছোট দোকানপাট খোলা আছে। গ্রামের দিকে অবশ্য লকডাউনের কোনরকম পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়নি।
এই বিভাগের আরও খবর