১৮ এপ্রিল, ২০২১ ১৭:০৭

সন্তানের চিকিৎসার জন্য অটোরিকশায় ১১০ কিলোমিটার পাড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

সন্তানের চিকিৎসার জন্য অটোরিকশায় ১১০ কিলোমিটার পাড়ি

ঠাকুরগাঁও থেকে অটোরিকশায় অসুস্থ সন্তানের চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছেন অসহায় বাবা ও তার পরিবার। অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া দেওয়ার টাকা না থাকায় শনিবার সকালে ব্যাটারি চালিত অটো রিকশাযোগে ঠাকুরগাও থেকে রওনা হন অটোচালক তারেক ইসলাম।

বিকেলে ১১০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সাত মাসের শিশু সন্তান জান্নাতকে। বর্তমানের রমেক হাসপাতালের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন শিশু জান্নাত। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিশুটি বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত।

রবিবার দুপুরে কথা হয় শিশু জান্নাতের বাবা তারেক ও মামা জুয়েল রানার সাথে। তারা জানান, তারা দুজনেই অটো চালক। অটো চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। সাত মাস বয়সী শিশু জান্নাত রক্ত পায়খানা করায় গত ১৩ এপ্রিল রাতে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে একদিন চিকিৎসা দেওয়ার পর চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য জান্নাতকে রংপুরে রেফার্ড করেন।

কিন্তু লকডাউন পরিস্থিতি এবং অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ার টাকা না থাকায় দিশেহারা হয়ে পড়েন পুরো পরিবার। চারদিন ধরে কোনো ব্যবস্থা করতে না পেরে অবশেষে শনিবার ঠাঁকুরগাও থেকে অটোরিকশা চালিয়ে সন্তানকে নিয়ে রংপুরে আসেন তারা। তার সাথে ছিল পরিবারের আরো ৪ সদস্য। তারা বলেন, রাস্তায় অটোর চার্জ চলে যাওয়ায় তারাগঞ্জে এসে চার্জ দিয়ে পুনরায় রওনা হতে হয়েছে। তাই অনেক কষ্ট করে হাসপাতালে আসতে হয়েছে।

শিশু জান্নাতের মা সুলতানা বেগম বলেন, জান্নাত এখন অনেক ভালো অেেছ। সকালে ডাক্তার দেখে বেশকিছু পরীক্ষা করতে দিয়েছেন। তিনি জানান, তাদের ৯ বছর ও তিন বছর বয়সী আরও দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে।

হাসপাতালের শিশু সার্জারি ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক সহকারী রেজিস্ট্রার ওপেন্দ্র নাথ রায় বলেন, শিশুটিকে যে অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল, এখন সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। শিশুটি আগের চেয়ে ভালো রয়েছে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর