নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে’ অত্যাধুনিক দুইটি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি লাশবাহী গাড়ি উপহার দিয়েছে ডিএনসিসি।
সোমবার সকালে রাজধানীর মহাখালীতে ডিএনসিসি মেয়রের সৌজন্যে দেশের সর্ববৃহৎ ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল’ এর পরিচালকের নিকট চাবিসহ এই অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়ি হস্তান্তর করা হয়।
অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, হস্তান্তরকৃত দুটি অ্যাম্বুলেন্স এবং একটি লাশবাহী গাড়ির ড্রাইভার ও জ্বালানিসহ প্রয়োজনীয় সবকিছুই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে সরবরাহ করা হবে। শুধু অপারেশনাল ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন হাসপাতালের পরিচালক।
তিনি বলেন, গত বছর দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকলে মহাখালীতে এক হাজার শয্যার যে আইসোলেশন সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছিল ৯ অগাস্ট সেটি পরিদর্শন করতে এসে এই মার্কেটটিকে হাসপাতালে রূপান্তরের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম।
ডিএনসিসির মেয়র বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনার সার্বিক দিকনির্দেশনা ও আন্তরিক সহযোগিতার ফলে অল্পসময়ের মধ্যেই সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনা আক্রান্ত রোগীদের এই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হয়েছে।
মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, এই হাসপাতালের জমি, ভবন, বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। নগরবাসীর স্বাস্থ্যসেবার জন্যই ৭ দশমিক ১৭ একর জমিতে তৈরি ডিএনসিসির একটি বিপণীবিতানকে ‘ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল’ এ রূপান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই ভবনটি মার্কেটের জন্যই করা হয়েছিল। এখানে ২৫৮ টি দোকান বরাদ্দও দেয়া হয়েছিল। বোর্ড মিটিংয়ের মাধ্যমে তাদের বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। এমনকি দুই শতাধিক মালিকের সাথে নিজে কথা বলে তাদের বুঝাতে হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকের টাকাও ফেরত দেওয়া হয়েছে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, বিপদের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই মার্কেটটিকে হাসপাতালে রূপান্তরিত করা হয়েছে। যার আয়তন এক লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট। বর্তমান হারে প্রত্যেক মাসে এর ভাড়ার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৭০ লাখ টাকা, এই ভাড়ার টাকাও ডিএনসিসিকে দেওয়া লাগবে না।
মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, এই হাসপাতালের জমি, ভবন, বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থা করেছে ডিএনসিসি। মহামারি চলাকালীন এটি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেবে। মহামারি শেষ হলে এটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জেনারেল হাসপাতাল হিসেবে পরিচালিত হবে, যেখানে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনার ইন্ডিয়ান ভেরিয়েন্ট যাতে বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে সেদিকে আমাদের সকলকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।
উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ডিএনসিসির মেয়র বলেন, যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও শপিংমল পরিচালনা করতে হবে, অন্যথায় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডাক্তার আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বক্তৃতা করেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ