৯ মে, ২০২১ ১৭:১১

করোনার ভারতীয় ধরন রংপুরে প্রবেশের শঙ্কা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

করোনার ভারতীয় ধরন রংপুরে প্রবেশের শঙ্কা

প্রতীকী ছবি

করোনার ভারতীয় ধরন রংপুরেও প্রবেশ করতে পারে এমন আশঙ্কায় কঠোর সতর্কতা অবলম্বন করেছেন স্বাস্থ্য বিভাগ। রবিবার পঞ্চগড়ের বাংলাবান্দা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে দুই বাংলাদেশি এসেছেন।

তাদের কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঠাকুরগাও সদর হাসপাতালের পৃথক দুটি কেবিনে রাখা হয়েছে। নেগেটিভ সনদ নিয়ে এলেও পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে তাদের সম্পর্কে এখনই কিছু বলতে পারছে না স্বাস্থ্য বিভাগ। এদিকে, করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকাও প্রায় শেষের পথে।

রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আহাদ আলী জানান, ভারত থেকে ওই দুই বাংলাদেশি করোনার নেগেটিভ সনদ নিয়ে এলেও তাদের ঠাকুরগাও হাসপাতালে পৃথক দুটি কেবিনে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশে তাদের করোনা নেগেটিভ হলেও তাদের কমপক্ষে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

করোনার ভারতীয় ধরন প্রসঙ্গে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আহাদ আলী বলেন, ভারতীয় ধরন যদি বাংলাদেশে পুরোপুরি প্রবেশ করে তাহলে আপনিও (সাংবাদিক) লিখতে সময় পাবেন না। আমি (চিকিৎসক) বলতে সময় পাব না। অবস্থা খুব ভয়াবহ হতে পারে। তাই এখনো সময় আছে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

রংপুর বিভাগে ৫টি স্থল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মানুষের যাতাযাত রয়েছে। বন্দরগুলো হলো লালমনিরহাটের বুড়িমারী, পঞ্চগড়ের বাংলাবান্দা, দিনাজপুরের হিলি ও রাধিকাপুর এবং কুড়িগ্রামের রৌমারীর তুরারোড। এসব সীমান্ত দিয়ে বর্তমানে যাতায়াত বন্ধ থাকলেও বিশেষ ব্যবস্থায় কেউ কেউ ভারত থেকে এলে তাদের স্বাস্থ্য কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং তাদের বাধ্যতামূলকভাবে হাসপাতাল অথবা অন্য কোথাও কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের আশঙ্কা সাবধান না হলে ভারতীয় ধরন যেকোনো সময় ভয়াবহ রুপ নিতে পারে।

এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, রংপুর বিভাগে করোনার টিকা শেষের পথে। দিনাজপুর, ঠাকুরগাও, পঞ্চগড়, নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলার মজুদ টিকা চলবে আর মাত্র ৫ দিন। রংপুরে চলবে ১৯ দিন, গাইবান্ধায় চলবে ১৭ দিন এবং কুড়িগ্রামে চলবে ১৪ দিন।

দ্বিতীয় ডোজের টিকা প্রদানে কিছুটা ধীরগতি গ্রহণ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তা না হলে টিকা বেশ কয়েকদিন আগেই শেষ হয়ে যেত। বিদেশ থেকে টিকা না এলে প্রায় ৩ লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজের নেওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন। রংপুর বিভাগের ৮ জেলার জন্য টিকার বরাদ্দ এসেছিল ৯ লাখ।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর