মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের অসংখ্য সদস্য শহীদ হয়েছেন, যাদের আত্মত্যাগ অনেকের কাছেই অজানা। স্বাধীনতা পরবর্তী জীবিত অনেক পুলিশ সদস্যের বীরোচিত ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদান আমরা তাদের নিকট থেকে জেনেছি। বীর মুক্তিযোদ্ধারা সকলেই বার্ধক্যে উপনীত হয়েছেন, অনেকে চিরবিদায় নিয়েছেন। বার্ধক্যজনিত কারণে অনেকে নিভৃত জীবনযাপন করছেন, ফলে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগুলি হারিয়ে যেতে বসেছে।
পরবর্তী প্রজন্মের জন্য মুক্তিযুদ্ধের এই স্মৃতিগুলো সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা অনুভবের প্রেক্ষাপটে রংপুর মহানগরীতে বসবাসরত বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযুদ্ধের আত্মস্মৃতি সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার (৯ জুন) দুপুরে মেট্রোপলিটন এলাকায় বসবাসরত ২২ বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধগাঁথা, যুদ্ধের বর্ণনা ও ইতিহাস নিয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক সংকলিত ও প্রকাশিত 'মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা' নামক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
পুলিশ কমিশনারের পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সংকলনটি প্রকাশিত হয় কমিশনারের কার্যালয়ে। রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় বসবাসরত বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধকালীন স্মৃতির বর্ণনা ও ইতিহাস লিখিতভাবে তাদের নিকট থেকে গ্রহণ করে 'মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা' নামক গ্রন্থ প্রকাশ করা হয়েছে। একইসাথে তাদের বক্তব্যের ভিডিও ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের অবদান গর্বের ইতিহাস হিসেবে সংরক্ষণের নিমিত্ত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সংগৃহীত তথ্যসমূহ ডকুমেন্ট আকারে সংরক্ষণের লক্ষ্যে পরবর্তীতে বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে প্রেরণ করা হবে।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ আবদুল আলীম মাহমুদ বিপিএম। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুল ওয়াহাব ভূঞা, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য বিপিএম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, পুলিশ সুপার, বিপ্লব কুমার সরকার ও যাদের বক্তব্যে সমৃদ্ধ হয়েছে বইটিতে সেই ২২ জন বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত