সাভারে দুই যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা কলে লাশ পাট ক্ষেতের মধ্যে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ নিহত ওই দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ জুন) সকাল ১১ টায় উপজেলার ভাকুর্তা ইউনিয়নের হারুলিয়ার চক থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ। নিহতদের মধ্যে একজনের নাম রায়হান ও অপর জনের নাম নাজমুল বলে জানা গেছে। তারা সম্পর্কে খালাতো ভাই। এদের মধ্যে রায়হান সাভারের হেমায়েতপুর যাদুরচর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো এবং নাজমুল বরিশাল থেকে তার কাছে বেড়াতে এসেছিলো বলে জানিয়েছে পুলিশ।
থানা পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানায়, শুক্রবার ভোরে হারুলিয়া এলাকার চকে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে লাশ পাট ক্ষেতে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। সকালে স্থানীয় কৃষককরা দুই যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পেয়ে সাভার মডেল থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠায়।
নিহত দুই যুবকের লাশ বিশ ফিট দূরত্বের মধ্যে ছিল। এসময় তাদের পড়নে প্যান্ট ও গেঞ্জি ছিল। তবে কে বা কারা তাদেরকে কি কারণে হত্যা করেছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ কাফি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে দুই যুবকের নাম রায়হান ও নাজমুল বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে রায়হানায় যাদুরচর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো এবং তার খালাতো ভাই নাজমুল বরিশাল থেকে বেড়তে এসেছিলো। তবে কি কারণে এবং কারা তাদেরকে হত্যা করছে সে বিষয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য কাজ করছে পুলিশ। এঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, দুই যুবকের নাম পরিচয় পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে সিআইডি ও পিবিআই পৃথক ২ দুইটি টিম ঘটনাস্থলে ছুরি ও বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে গত পাঁচ দিনে সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে পাঁচ জনের লাশ উদ্ধার করেছিলো পুলিশ। পাঁচ জনের মধ্যে তিনজনেই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। আর দুইজন আত্মহত্যা করেছিল।
উল্লেখ্য, গত পাঁচ দিনে সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই থেকে পাঁচ জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এদের মধ্যে তিনজনই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন এবং বাকি দুইজন আত্মহত্যা করে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত