জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি, জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে নগর নিরাপত্তা বেষ্টনীর উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণে অস্ট্রেলিয়ান সরকারের পক্ষ থেকে ২.১ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারের নতুন অনুদানকে স্বাগত জানিয়েছে। এ সহায়তা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির পরিসর বৃদ্ধিতে একটি কার্যকর মডেল তৈরি এবং আগামী বছর শুরু হতে যাওয়া দুস্থ নারী সহায়তা কর্মসূচিতে ব্যয় হবে।
অস্ট্রেলিয়ার সমর্থনে এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি’র কারিগরি সহায়তায় এই প্রকল্প ৩৩ হাজার দুস্থ নারীদের সহায়তা প্রদান করবে এবং তাদের সরকারের প্রাসঙ্গিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে অন্তর্ভুক্ত করবে। এটি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিস্টেম শক্তিশালীকরণকে অগ্রাধিকার দিতে এবং কর্মসূচিগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ শহরাঞ্চলে সম্প্রসারণ করতে সাহায্য করবে, যাতে উপরোক্ত দুটি সরকারি কর্মসূচি ৬ লাখ নারীদের স্থায়ীভাবে সহায়তা করতে পারে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার বলেন, ‘আমরা সারা দেশে শহরাঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ, নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে পৌঁছানোর প্রচেষ্টায় সরকারকে সমর্থন করতে পেরে গর্বিত। এই ধরনের মানুষ কোভিড-১৯ সংকটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সাথে নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের শক্তিশালী অংশীদারিত্ব এবং ঢাকায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির মাঠ পর্যায়ে উপস্থিতি আমাদের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করবে।’
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর পিট ভোক্টেন বলেন, ‘বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি অস্ট্রেলিয়ার কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ সরকারের নিরাপত্তা বেষ্টনী প্রকল্পগুলোর পরিসর বৃদ্ধিতে অবদানের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার সহায়তা আমাদের কাছে ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান। কারণ তারা আমাদের নমনীয় তহবিল দেয়, যা আমাদের শরণার্থীসহ দুস্থ মানুষদের কাছে তাৎক্ষণিকভাবে পৌঁছাতে সাহায্য করে।’
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বাংলাদেশ সরকারকে নতুন ও বিদ্যমান জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা, কর্মসূচি এবং নীতিমালা প্রণয়ন ও সরবরাহের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে। খাদ্য নিরাপত্তার প্রতি পুষ্টি-সংবেদনশীল পন্থা প্রচারের জন্য এটি সাধারণত সরকারি নীতি, কর্মসূচি নকশা, সিস্টেম উন্নতি, বাস্তবায়ন এবং অ্যাভিডেন্স সংগ্রহের ক্ষেত্রে সহায়তা করে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ২০২০ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করে। আমরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবিক সংগঠন, জরুরি পরিস্থিতিতে জীবন বাঁচানো এবং সংঘাত, দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে মুক্তিতে মানুষের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির পথ তৈরিতে খাদ্য সহায়তা করি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই