বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের একটি ওয়ার্ডে আগুন লাগার ভুয়া খবরে হুলস্থুল কাণ্ড হয়েছে। আগুনের গুজবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার অনেক রোগী ও তাদের স্বজন হাসপাতাল ছেড়ে বাইরে অবস্থান নেয়। পরে কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে আগুন না লাগার অভয় দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। হাসপাতালের সূত্রগুলো বলছে, কিছু দুস্কৃতিকারী আগুনের গুজব ছড়িয়ে রোগী-স্বজনদের বিব্রত করে ফায়দা লোটার চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
শনিবার দুপুর ২টার দিকে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার শিশু ওয়ার্ড থেকে আগুন লাগার এই গুজব ছড়িয়ে দেয়া হয়।
শিশু ওয়ার্ডে রোগীর স্বজন হাসিনা বেগম জানান, এক রোগীর স্বজন ওয়ার্ডের মধ্যে মুঠোফোনে চার্জ দেয়ার চেষ্টা করছিলো। ছকেটে চার্জার প্রবেশ করাতেই ফায়ার (স্পার্ক) হয়। ওই সময় নারী স্বজন ভয় পেয়ে আঁতকে উঠলে পাশে থাকা লোকজন আগুন আগুন বলে চিৎকার দেয়। আগুন লাগার খবর মুহূর্তের মধ্যে চাউর হয়ে গেলে সবাই দিগ্বিদিক ছোটাছুটি শুরু করে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার অনেক রোগী ও স্বজন দৌঁড়ে নিচে নেমে যায়।
হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল কালাম জানান, আগুন লাগার সত্যতা কেউ যাচাই না করেই প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে বাইরে বের হয়ে যায়। হাসপাতালের স্টাফরা তাদের বারণ করলেও তারা শোনেননি। পরে মাইকিং করে আগুন না লাগার নিশ্চয়তা দিয়ে রোগী ও স্বজনদের স্ব স্ব ওয়ার্ডে ফেরত পাঠানো হয়। ওয়ার্ডে ফিরে রোগী ও অনেক স্বজন তাদের মুঠোফোন সেট ও টাকার ব্যাগ হারিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় রোগী ও স্বজনরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
বরিশাল সদর ফায়ার স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্বাস উদ্দিন বলেন, ফোনে খবর পেয়ে তাদের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলেও কোথায় আগুন লেগেছে তা বলতে পারেনি কেউ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সাথে নিয়ে বিভিন্নস্থানে খুঁজেও আগুনের সূত্রপাত পাওয়া যায়নি।
হাসপাতালের সহকারি পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. মনিরুজ্জামান জানান, ফোন-টাকা চুরি যাওয়ার অভিযোগ কেউ লিখিতভাবে জানায়নি। তবে বিষয়টি এক ধরনের প্রতারণামূলক। আগুন লাগার গুজব ছড়িয়ে রোগীদের মালামাল চুরির চেষ্টা চালানো হয়েছিলো। কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল