গাজীপুরের কালিয়াকৈরে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পোশাক শ্রমিককে হত্যার পর রেললাইনে ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কালামপুর খাজারডেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কে বা কারা মোবাইল ফোনে রাসেলকে ডেকে পাঠায়। এরপর তাকে হত্যা করা হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম রাসেল হাসান (৩২)। তিনি কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর এলাকার আব্দুল সামাদের ছেলে এবং স্থানীয় একটি কারখানার লাইন সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এলাকাবাসী, নিহতের পরিবার, থানা ও রেলওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কে বা কারা মোবাইল ফোনে রাসেলকে ডেকে পাঠায়। এরপর তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। পরে রাত ৮টার দিকে পাশের খাজারডেক এলাকায় রেললাইনের পাশে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে পরিবারকে খবর দেয় এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন নিহতের লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়। প্রথমে ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে এমন ভাবলেও পরে লাশ দেখে পরিবারসহ স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। এসময় স্থানীয় লোকজন ৯৯৯-এ ফোন দিলে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ নিহতের বাড়িতে যায় এবং রেলওয়ে পুলিশকে খবর দেয়।
খবর পেয়ে স্থানীয় রেল স্টেশনের লোকজন নিহতের লাশ উদ্ধার না করে চলে যায়। তবে লাশ দাফন না হলে ও হত্যার গুঞ্জন উঠলে শনিবার সকালে আবারও কালিয়াকৈর থানা পুলিশ নিহতের বাড়িতে যায়। তবুও জটিলতার কথা বলে নিহতের লাশ উদ্ধার করেনি থানা পুলিশ। দুপুরে রেলওয়ে পুলিশ নিহতের বাড়িতে গিয়ে জটিলতা দেখিয়ে লাশ উদ্ধারে অনিহা প্রকাশ করে। নানা আলোচনা সমালোচনা শেষে ঘটনার ১৯ ঘণ্টা পর দুপুর ২টার দিকে লাশ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়।
জয়দেবপুর রেলওয়ে পুলিশের এসআই শহিদুল ইসলাম জানান, লাশটি রেললাইনের পাশে না থাকায় জটিলতার সৃষ্টি হলে উদ্ধারের বিলম্ব হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম জানান, নিহতের লাশ রেললাইনের পাশে পড়ে থাকায় এটা থানার আওতায় পড়ে না। এ কারণেই আমরা লাশ উদ্ধার করিনি। রেলওয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই