জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে সারা দেশের ন্যায় রংপুরে গণপরিবহন বন্ধ রেখেছে মালিক শ্রমিকরা। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এছাড়া ট্রাক ও ট্যাংক লরি বন্ধ থাকায় পণ্যের বাজারেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
শুক্রবার সকালে রংপুর নগরীর ঢাকা কোচ স্ট্যান্ড, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, ট্রাক টার্মিনাল, মর্ডান মোড় ও সাতমাথাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কোথাও বাস-ট্রাক চলছে না। তবে মর্ডান মোড়ে দুই-একটি হালকা যানবাহন চললেও তারা যাত্রীদের কাছ থেকে নিচ্ছেন মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া।
ঢাকা কোচ স্টান্ডে আব্দুর রহমান নামে এক যাত্রীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, রবিবার তার ঢাকায় জরুরি কাজ রয়েছে। যেতে না পারলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। তিনি ভেঙে ভেঙে ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে রংপুর মটরমালিক সমিতির এক বৈঠক শেষে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি ও রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, কোনো ঘোষণা ছাড়াই কেরোসিন ও ডিজেলের দাম বাড়ানো সরকারের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। দেশের ৭০ শতাংশ অর্থনীতি সড়ক পথে নির্ভরশীল। গাড়ির চাকা না ঘুরলে স্থবির হবে সবকিছু। হঠাৎ করে কেরোসিন ও ডিজেলের দাম বাড়ানো ঠিক হয়নি। পরিবহন মালিক সমিতির সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় দেশে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এদিকে মটর মালিক ও শ্রমিকদের একাধিক নেতা বলেন, কোনো আলোচনা ছাড়াই তেলের দাম বাড়ানো অযৌক্তিক। ফলে পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির পাশাপাশি সব কিছুতেই খারাপ প্রভাব পড়বে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে প্রতি লিটার কেরোসিন ও ডিজেল বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা করে। এর আগে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন বিক্রি হতো ৬৫ টাকা করে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই