রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে ১০ চিকিৎসকের মধ্যে ৫ জন দিয়ে চিকিৎসা চলছে। এছাড়া ১৬টি বেডের মধ্যে সচল রয়েছে মাত্র ১২টি বেড। দগ্ধ ২৪ জন রোগীদের অন্য ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
রমেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি চিকিৎসক সংকট প্রকট আকার ধারন করেছে। এই ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের সেবা দেয়ার জন্য রয়েছে মাত্র ৫ জন চিকিৎসক। এছাড়া শিক্ষানবিশ চিকিৎসক আর আয়াদের রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। খাতা কলমে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে সাত চিকিৎসক ও ৩ জন প্রভাষক দায়িত্বে থাকার কথা। বর্তমানে বার্ন ইউনিটের অধীনে ৪০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে বার্ন ইউনিটে ১২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। অন্য ৩টি ওয়ার্ডে ৮জন করে রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। এর মধ্যে ৮ জন শিশু, ৮ জন নারী ও ৮ জন পুরুষ রয়েছে।
এদিকে বার্ন ইউনিটে কয়েকজন রোগী ও তাদের স্বজনরা অভিযোগ করেন, বার্ন ইউনিটে ভালো সেবা নেই। চিকিৎসক নেই। চিকিৎসাও ব্যয়বহুল। স্যালাইন ছাড়া হাসপাতাল থেকে আর কিছুই দেয়া হয় না।
চলতি শীত মৌসুমে অগ্নিদগ্ধ হয়ে গত এক মাসে এই ইউনিটে এখন পর্যন্ত ৩ জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শীতের হাত থেকে বাঁচতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২৫ জনের মত রোগী। চিকিৎসক এবং ওষুধ সংকটের ফলে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বার্ণ ইউনিট ও প্লাষ্টিক সার্জারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এম. এ হামিদ পলাশ জানান, মোট ১০টি পদ থাকলে শুধু ৫ জন কাজ করছি। ১৬টি বেডের মধ্যে ৪টি বেড নষ্ট থাকায় দগ্ধ রোগীদের অন্য ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. রেজাউল করিম বলেন, আমি জরুরী মিটিংয়ে রয়েছি। বার্ন ইউনিটের বিষয়ে পরে কথা বলব।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল