রাজশাহীর তানোরে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ঘুরতে আসা তরুণ-তরুণীকে মারধরের মামলায় একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার দুপুরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার গভীর রাতে উপজেলার তালন্দ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার নাম মইনুল ইসলাম (৩৫)। তিনি তানোর পৌরসভার তালন্দ মধ্যপাড়ার বাসিন্দা।
মামলা ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার দুপুরে এক তরুণ ও তরুণীকে বেধড়ক মারধর ও অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন তালন্দ-সমাসপুর গ্রামের মইনুল ও রাজু। উপজেলার তালন্দ-চৌবাড়িয়া প্রধান সড়কের লবাতলা ব্রিজসংলগ্ন রাস্তায়। ঘুরতে আসা অপরিচিত ওই তরুণ-তরুণীর বিরুদ্ধে রাস্তার পাশে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ এনে মারধর করেন তারা। এসময় সারওয়ার হোসেনসহ আরও দুজন স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তারা এ সময় তাদের বাধা দেন এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন। মারধরের ওই ভিডিওটি পরে ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকিবুল হাসান জানান, ঘুরতে আসা তরুণ-তরুণীকে মারধরের ঘটনাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় ভুক্তভোগী তরুণীর বাবা বাদী হয়ে গত শনিবার রাতে মইনুল ও রাজুর নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলার পর অভিযান চালিয়ে মইনুলকে গ্রেফতার করা হয়।
ওসি রাকিবুল বলেন, মইনুলকে এ মামলায় রবিবার রাজশাহীর আদালতে পাঠানো হয়। অমানবিকভাবে নির্যাতনের এই ঘটনায় জড়িত অন্য আসামি রাজুকে গ্রেফতারে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত