২৮ মার্চ ঐতিহাসিক ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস। ১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে তীর-ধনুক, লাঠি ও বল্লম নিয়ে হাজার হাজার মুক্তিকামী মানুষ রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও করে ইতিহাস রচনা করেছিলেন। এদিন স্বাধীনতাকামী মানুষদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মেশিনগানে গুলি ছোড়ে।
মাত্র ৫ মিনিটে ৫ শতাধিক লাশ পড়ে থাকে মাঠে। ছড়িয়ে থাকা মরদেহ টেনেহিঁচড়ে এনে ঘাঘট নদীর তীরে জড়ো করে পুড়িয়ে ফেলা হয়। তখনো যারা বেঁচে ছিল তাদের গোঙানিতে বিরক্ত হয়ে পাঞ্জাবি জান্তারা বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে তাদের হত্যা করে।
স্বাধীনতাকামী নিরস্ত্র বাঙালির এই আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছে রংপুরবাসী। সোমবার সকালে নিসবেতগঞ্জ ঘাঘট নদীর তীরে স্মৃতিস্তম্ভ ‘রক্তগৌরব’ এ পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক আসিব আহসান, ক্যান্টবোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা ইশরাত সাদিয়া সুমি, সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর নাহার বেগম, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শাফিয়ার রহমান সফি প্রমুখ। এ সময় শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও মোনাজাত করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/এমআই