খুলনা খালিশপুরে জ্বালানী তেল উত্তোলন-সরবরাহ বন্ধ ও কর্মবিরতীর সিদ্ধান্ত সাময়িক স্থগিত করেছে ট্যাংকলরি শ্রমিকরা। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) রাত ৮টার দিকে খুলনা জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে আগামী শনিবারের মধ্যে ট্যাংকলরি শ্রমিক নেতার ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা না হলে রবিবার থেকে আবারও কর্মবিরতিসহ কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, সোমবার (২৮ মার্চ) দুপুরে খালিশপুরের কাশিপুর মোড়ে সন্ত্রাসীরা চাঁদার দাবিতে ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের লাইন সম্পাদক মো. আল আমিনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। বর্তমানে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদিকে, এ ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষনিক শ্রমিকরা ওই দিন নতুন রাস্তা মোড়ে সড়ক অবরোধ করেন। তবে পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে বিকাল ৪টায় অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। শ্রমিক নেতা মো. আল আমিনের ভাই জাহাঙ্গীর বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
তবে ঘটনার একদিন পরেও আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় কর্মবিরতী শুরু করেন ট্যাংকলরি শ্রমিকরা। এতে খালিশপুরের পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। পরে ট্যাংকলরি ইউনিয়ন অফিসের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতীর ঘোষণা দেওয়া হয়। এই কর্মসূচির সঙ্গে একাত্বতা ঘোষণা করে বাংলাদেশ ট্যাংকলরি অনার্স এসোসিয়েশন, বিভাগীয় জ্বালানী তেল ডিষ্ট্রিবিউটর, বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন ও পদ্মা মেঘনা যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির নেতৃবৃন্দ।
এদিকে অচলাবস্থা নিরসনে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার
আন্দোলনরত শ্রমিক নেতাদের সাথে বৈঠক করেন। এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইউসুপ আলী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজেষ্ট্রেট পুলক কুমার মন্ডল, শ্রম অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান, খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন খান, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মীর মোকসেদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলী আজিমসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সার্বিক দিক বিবেচনা করে আপাতত কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়।
বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মীর মোকসেদ আলী জানান, শনিবারের মধ্যে যদি হামলাকারীকে গ্রেফতার না করা হয় তাহলে রবিবার থেকে আবারও কর্মবিরতিসহ কঠোর আন্দোলনে যাবে শ্রমিকরা।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ