'আগামী ১ এপ্রিল থেকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সকল অঞ্চলে অনলাইনের মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় করা হবে। কোনো অবস্থাতেই ১ এপ্রিলের পর হতে ডিএনসিসিতে নগদ টাকায় লেনদেন করা হবে না। এখন থেকে অটোমেশনের মাধ্যমে ট্যাক্সসহ অন্যান্য সকল বিল নেওয়া হবে। বিদেশে বসেও যে কেউ ট্যাক্স দিতে পারবেন'।
বুধবার দুপুরে গুলশান-২ এ নগর ভবনের হলরুমে (লেভেল-৬) রাজস্ব বিভাগের অটোমেশন কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তবে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আগে নগরবাসী ট্যাক্স পরিশোধের ক্ষেত্রে নানাভাবে হয়রানির শিকার হতো। তাদের হয়রানি ও ভোগান্তি বন্ধ করতেই এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্যাশলেস লেনদেনের মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। অটোমেশনের মাধ্যমে নগরবাসী যেমন ঘরে বসে কাঙ্ক্ষিত ডিজিটাল সেবা পাবেন ঠিক তেমনি এর ফলে লাঘব হবে মধ্যসত্ত্বভোগীদের দৌরাত্ত্ব এবং সাশ্রয় হবে সকলের সময়, কর্মঘণ্টা, কমবে গ্রাহকের ভোগান্তি ও হয়রানি।
নগরবাসীর উদ্দেশে মেয়র বলেন, ই-মেইল এড্রেস, ফোন নম্বর ও জাতীয় পরিচয় পত্রের মাধ্যমে খুব সহজেই একটি একাউন্ট খুলে ট্যাক্স দেওয়া যাবে। আপনারা এই তিনটি তথ্যের মাধ্যমে ঘরে বসেই অনলাইনে ট্যাক্স পরিশোধ করুন।
তিনি আরও বলেন, আপনারা অনলাইনে আপনাদের বাড়ির মাপ অনুযায়ী হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করবেন। তবে রাজউক, বিদ্যুৎ বিভাগ এবং ওয়াসা এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের সাথে সিটি করপোরেশনের চুক্তি হচ্ছে। এর মাধ্যমে সিটি কর্পোরেশন জানবে বাড়িটি কত স্কয়ার ফিটের। চাইলেও বাসার মাপ কম উল্লেখ করে ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া যাবে না।
এসময় মেয়র বলেন, রাজধানীর অনেকগুলো এলাকার বাসিন্দারা কিছু ক্ষেত্রে বেশি সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। তাই সেসব এলাকায় অন্য এলাকার তুলনায় ট্যাক্স রেট কিছুটা বেশি হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, গুলশান-বনানী-বারিধারার মতো অভিজাত এলাকা এবং যাত্রাবাড়ির পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ অন্যান্য ইউটিলিটিক্যাল সার্ভিসের চার্জ যদি সমান হয় তাহলে সবাই তো অভিজাত এলাকায় থাকতে চাইবে। কেউ তো যাত্রাবাড়ী বা কম সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত এলাকায় থাকবে না। তাই জোনভিত্তিক সার্ভিসের মূল্য নির্ধারণ করা এখন সময়ের দাবি।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব আদায়ের কার্যক্রম অটোমেশন করার উদ্যোগের প্রসংশা করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন,অটোমেশিনের মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে নাগরিক সেবা সহজিকরণের পাশাপাশি স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব। অটমেশন ব্যবস্থাপনায়ও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে তবে সেগুলোকে মোকাবেলা করতে হবে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত