'আসলে বিএনপি কখনই চায় না যে বাংলাদেশ একটি মর্যাদাশীল, সমৃদ্ধশীল হোক। বাংলাদেশ সৃষ্টির শত্রুদের সাথেই বিএনপির সখ্যতা বেশি। তারা চেয়েছিল বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে। যাতে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের গর্ব, ঐতিহ্য ধুলিস্যাৎ হয়ে যাক। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বেঁচে ছিল বলেই আজকে সেটা সম্ভব হয় নাই। বাংলাদেশ আজকে একটি উন্নয়নশীল দেশ, একটি মর্যাদাশীল দেশ। সামনেও বাংলাদেশ তার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখাবে। আমার বিশ্বাস আগামী নির্বাচনেও আপনারা নৌকাকে ভোট দিয়ে আবার নির্বাচিত করবেন।'
আজ (২০ এপ্রিল) মিরপুর দারুস সালামে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে ঈদ খাদ্রসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন-ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন।
শেখ ফজলে শামস্ পরশ আরও বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেন, তারা আজকাল বলে যে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র হরণ করে, যে দলটি সবচেয়ে অগণতান্ত্রিক উপায়ে ক্যান্টনমেন্টের ভিতর থেকে একজন আর্মি জেনারেলের হাত ধরে জন্ম হওয়ার পর হাজার হাজার সৈন্যদের হত্যা করা এবং শত শত বিমান বাহিনী, আর্মি অফিসারদের মেরে ফেলে। যেই দল হত্যার রাজনীতি, অস্ত্রের রাজনীতি বিস্তার করেছে সেই দলের মুখে গণতন্ত্র মানায় না। পরিশেষে বলতে চাই আপনারা সবসময় যুবলীগকে, আওয়ামী লীগকে আপনাদের পাশে পাবেন, বিচলিত হবে না, বিভ্রান্ত হবেন না। এদেশকে আমরা মর্যাদাশীল, উন্নয়নশীল দেশের কাতারে দাঁড় করিয়েছি। সামনে আমাদের অনেক দূর যেতে হবে, দেশকে এগিয়ে নিতে সামনে আমাদের অনেক কাজ। আপনারা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, এই করোনায় জামায়াত-বিএনপি কাউকে এক মুঠো চাল পর্যন্ত দিয়েছে কি না। দেয় নাই। অথচ তারা ক্ষমতায় থেকে এদেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতা-কর্মীকে হত্যা ও গুম করেছে। সাধারণ মানুষকে জিম্মী করে তাদের অধিকার বঞ্চিত করেছে। আমি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই-জামায়াত-বিএনপির সকল ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থাকবেন। আপনারা আগামীতে ভোটের মাধ্যমে নৌকাকে আবার বিজয়ী করবেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, মোঃ রফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিকসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল