বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা দিবস উপলক্ষে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার সেমিনার, র্যালি ও আলোচনা সভা করেছে ল্যাব ওয়ান ফাউন্ডেশন অব থ্যালাসেমিয়া ও রোটারি ক্লাব অব তুরাগ উত্তরা।
‘ল্যাব ওয়ান রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব হেমাটোলজি অ্যান্ড হাসপাতাল এর ম্যানেজার বাপ্পী ভেীমিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. লিয়াকত হোসেন তপন, রোটারি ক্লাব অব তুরাগ উত্তরার প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান আনিস-উর রশিদ (পিএইচএফ), ল্যাব ওয়ান হাসপাতাল লিমিটেড এর পরিচালক ডা. জিনাত আরা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ল্যাব ওয়ান ফাউন্ডেশন অব থ্যালাসেমিয়ার প্রতিষ্ঠাত সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সালাহ্উদ্দীন শাহ্। বিশিষ্ট অনলাইন অতিথি ছিলেন আমেরিকা থেকে ক্যানসাস ডেমক্রেটিক পার্টির এশিয়ান প্যাসিফিক আইসল্যান্ডার কোকাস এর চেয়ারম্যান এবং ফোবানা সংগঠনের চেয়ারম্যান রোটারিয়ান রেহান রেজা।
সাইয়েন্টিফিক পেপার উপস্থাপনকালে ডা. কাজী ফজলুর রহমান থ্যালাসেমিয়া কি, কিভাবে এই রোগটি মানুষের মাঝে ছড়ায়, কিভাবে এই রোগের চিকিৎসা করা হয়- এগুলোসহ থ্যালাসেমিয়া সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, এটি একটি বংশগত রক্তের রোগ। থ্যালাসেমিয়া ধারণকারী মানুষ সাধারণত রক্তে অক্সিজেন স্বল্পতা বা অ্যানিমিয়াতে ভুগে থাকেন। অ্যানিমিয়ার ফলে অবসাদগ্রস্ততা থেকে শুরু করে অঙ্গহানি পর্যন্ত ঘটতে পারে। বাবা অথবা মা, অথবা বাবা- মা উভয়েরই থ্যালাসেমিয়ার জিন থাকলে বংশানুক্রমে এটি সন্তানের মধ্যে ছড়ায়। এই রোগ কোন ছোঁয়াচে রোগ নয়। জিনগত ত্রুটির কারণে এই রোগ হয়ে থাকে। থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা নিয়মিত নিতে হয়। এসব রোগীকে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসার দেয়ার কাজ করে যাচ্ছে ল্যাব ওয়ান ফাউন্ডেশন অব থ্যালাসেমিয়া। থ্যালাসেমিয়া রোগটি বংশগত হলেও এটা রোধ করা সম্ভব যদি আমরা এই রোগ সম্পর্কে বাংলাদেশের সকল নাগরিককে অবগত করতে পারি। তাছাড়া থ্যালাসেমিয়া রোগীদের নিয়মিত রক্ত পরিসঞ্চালন করে বেঁচে থাকতে হয়, এজন্য এদের নিরাপদ রক্ত নিশ্চিত করার লক্ষ্যে স্বেচ্ছায় রক্তাদানের ব্যাপারেও সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক